২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে ৬৪ দলের করার প্রস্তাব উঠছে, আর তাতেই বাড়ছে বিতর্ক।
বর্তমানে বিশ্বকাপ ৩২ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। তবে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হতে যাচ্ছে।
এরপর ২০৩০ সালে দল সংখ্যা ৬৪ করার প্রস্তাব আসায় অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন।
কনকাকাফ-এর প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মন্ট্যাগলিয়ানি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছেন, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়। এর ফলে জাতীয় দল থেকে শুরু করে ক্লাব, লীগ এবং খেলোয়াড়দের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
উয়েফা প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার সেফেরিনও এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি একটি খারাপ ধারণা। এছাড়াও, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (এএফসি) এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে এবং একে ‘বিশৃঙ্খলার’ কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মাসে ফিফা কাউন্সিলের একটি সভায় এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ফিফার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়নি।
যদি এই প্রস্তাব কার্যকর হয়, তবে টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যা খেলোয়াড় এবং আয়োজক দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে মোট ৬৪টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। ৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে এই সংখ্যা বেড়ে ১২৮টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০৩০ সালের বিশ্বকাপের মূল আয়োজক দেশগুলো হলো স্পেন, মরক্কো এবং পর্তুগাল। তবে, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রথম তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনায়।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া দেশগুলোকেও এখন নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তবে, এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
কেউ কেউ মনে করছেন, দল সংখ্যা বাড়লে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ বাড়তে পারে। আবার অনেকে বলছেন, এর ফলে বিশ্বকাপের আকর্ষণ কমে যেতে পারে এবং খেলার মানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বর্তমানে ফিফা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। এখন দেখার বিষয়, তারা এই প্রস্তাবের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন