জানেন কি? ৩৪ সংখ্যাটির এত অজানা রহস্য!

সংখ্যার জাদুকরী জগৎ: ৩৪-এর অজানা কিছু কথা

সংখ্যাগুলো আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণিত থেকে শুরু করে খেলাধুলা, এমনকি দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনাতেও সংখ্যার উপস্থিতি অনস্বীকার্য। আজ আমরা জানবো ৩৪ সংখ্যাটি ঘিরে থাকা কিছু মজাদার তথ্য, যা হয়তো অনেকেরই অজানা।

প্রথমে আসা যাক গণিতের কথায়। ৩৪ সংখ্যাটি ফিবোনাচি ধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধারায় প্রতিটি সংখ্যা তার আগের দুটি সংখ্যার যোগফল। ৩৪ হলো এই ধারার নবম সংখ্যা।

খেলাধুলার জগৎেও ৩৪-এর রয়েছে বিশেষ স্থান। বাস্কেটবলের কিংবদন্তী খেলোয়াড় শ্যাকুইল ও’নিল, চার্লস বার্কলে এবং হাকিম ওলাজুওন তাঁদের জার্সিতে ৩৪ নম্বর ব্যবহার করেছেন।

স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো লন্ডনের ‘সেন্টার পয়েন্ট’ নামের আকাশচুম্বী ভবনটি। এর রয়েছে ৩৪টি তলা। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে নির্মিত এই ভবনের উচ্চতা প্রায় ১১৭ মিটার।

গণমাধ্যম এবং বিশ্ব রেকর্ডের ক্ষেত্রেও ৩৪-এর উপস্থিতি লক্ষণীয়। ২০১৪ সালে, আল রকার নামের একজন সাংবাদিক টানা ৩৪ ঘণ্টা ধরে আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ৩৪ সংখ্যাটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। স্পেনের ফোন কোড হলো +৩৪। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি ধারা, অর্থাৎ আর্টিকেল ৩৪, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভবনা থাকলে, সেই বিষয়ে অনুসন্ধানের অনুমতি দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জনগণনা ব্যুরোর মতে, ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত একজন ব্যক্তিকে তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণ্য করা হয়।

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন তাঁর ৬০তম জন্মদিন পালন করেন, তখন তিনি সিংহাসনে আরোহণ করার ৩৪ বছর পার করে ফেলেছেন।

বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও ৩৪ সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য। যেমন, ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের আয়তন বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম দেশ।

বিভিন্ন মানুষের জীবনেও ৩৪ সংখ্যাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। যেমন, ২০১৪ সালে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন তাভি রয়ভাস নির্বাচিত হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৪ বছর। আবার, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম হেগ ৩৪ বছর বয়সে ওয়েলসের সেক্রেটারি অফ স্টেট নিযুক্ত হয়েছিলেন।

কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এই সংখ্যাটি। যেমন, ২০১৪ সালে, একটি ব্রিটিশ দম্পতি ৩৪ জন সন্তান নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রেকর্ড তৈরি হয়েছে এই সংখ্যাটিকে কেন্দ্র করে। যেমন, ২০০৫ সালে থিজ ভার্সলুট নামের একজন ব্যক্তি, তাঁর দাঁতের মাঝে একসঙ্গে ৩৪টি ‘প্রিংগলস’ ধরে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন।

এই সংখ্যাটি শুধু তথ্য বা ঘটনার সমষ্টি নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিককে এক সুতোয় বাঁধে। তাই, ৩৪ সংখ্যাটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী, যা আমাদের জানার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *