আবারও মা! পরিবারের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে, মুখ খুলতে পারছেন না ৫ ছেলের জননী

শিরোনাম: ষষ্ঠ সন্তানের প্রত্যাশা: পাঁচ ছেলের মা’কে পরিবারের সমালোচনার মুখে পড়ার ভয়

যুক্তরাজ্যের এক নারীর ষষ্ঠ সন্তানের প্রত্যাশা ঘিরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

পাঁচ ছেলের মা’কে এবার পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হতে পারে, সেই আশঙ্কায় তিনি কিছুটা বিচলিত। বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই নারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে খবরটি জানাতে দ্বিধা বোধ করছেন।

কারণ, আগের বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানালে তাঁর মা’য়ের ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল এবং তিনি ‘আবার?’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। মা হওয়ার এই সময়ে যদিও তিনি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে নেই, তবুও তিনি সন্তানের আগমনের অপেক্ষায় খুশি।

ওই নারী জানান, সন্তানদের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা রয়েছে, জীবনের ব্যস্ততা সত্ত্বেও তিনি তাদের সঙ্গ উপভোগ করেন।

তবে, পাঁচ সন্তানের জননী হওয়ায় তাঁর জীবনে নানা ধরনের চাপ রয়েছে।

একদিকে যেমন সংসারের সমস্ত কাজ সামলাতে হয়, তেমনই শিশুদের স্কুল ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

এমনকি, সম্প্রতি তাঁর চার বছর বয়সী ছেলের স্কুলের একটি ঘটনা নিয়ে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছিলেন।

নিজের এই মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি জানতে চান, অন্য কোনো মা-ও কি বৃহৎ পরিবার নিয়ে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হন?

তাঁর মতো আর কেউ এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা, সে বিষয়েও তিনি জানতে চান।

ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা এই বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

কেউ কেউ ওই নারীর কাজের ধরন এবং গর্ভধারণ প্রতিরোধের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাঁদের মতে, সন্তান ধারণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে এবং অতিরিক্ত সন্তান নেওয়া বর্তমান শিশুদের জন্য ভালো নাও হতে পারে।

অন্যদিকে, অনেকে তাঁকে নতুন সন্তানের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

তাঁরা মনে করেন, সন্তানের জন্ম আনন্দ নিয়ে আসে এবং মা হিসেবে শিশুদের দেখাশোনা করাই আসল।

এক্ষেত্রে অন্যদের কথা না শুনে নিজের জীবন উপভোগ করা উচিত।

কেউ কেউ তাঁর সঙ্গীকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন।

ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি আসলে কারও কাছে কোনো সমালোচনা শুনতে চান না।

তিনি বোঝেন যে, পরিস্থিতি কঠিন, তবে তিনি তাঁর সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি মনে করেন, মা হিসেবে তিনি একা হয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর পাশে কেউ নেই।

তাই তিনি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজেছেন, যেখানে তিনি তাঁর কথা বলতে পারেন এবং তাঁর অনুভূতির কথা জানাতে পারেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *