৯0 দিনের বাগদত্তা: সার্পারের হুমকি, ‘হয় ভালো থাকবো, না হয় দেশ ছাড়বো!’, কান্নায় শেকিনা

“৯০ দিনের বাগদত্তা” (90 Day Fiancé) একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো, যেখানে বিভিন্ন দেশের যুগলদের প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ঘটনার ঘনঘটা দেখা যায়। এই শো’য়ের অন্যতম পরিচিত মুখ, শেকিনা এবং সার্পার, তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও এক কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন।

সম্প্রতি, লস অ্যাঞ্জেলেসে একসঙ্গে বসবাস শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে চরম কলহ সৃষ্টি হয়, যা তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

শেকিনার সঙ্গে থাকতে, সার্পার তুরস্ক থেকে আমেরিকায় আসেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মনোমালিন্য এতটাই বাড়ে যে সার্পার তুরস্ক ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে শেকিনা সার্পারের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমার সমস্যাটা কী?” উত্তরে সার্পার জানান, “আমার সমস্যা তোমার মুখটা। আমি ওই মুখটা চিনি।”

শেকিনা এর প্রতিক্রিয়ায় জানতে চান, “তুমি কি বুঝতে পারছ, তুমি এখন কতটা পাগলের মতো কথা বলছ?” সার্পার পাল্টা চিৎকার করে বলেন, “তুমি একদম অকেজো!”

শেকিনা জানান, সার্পারের জন্য তিনি সারাদিন কাজ করার পর খাবার তৈরি করেছিলেন, কিন্তু সার্পারের আচরণে তিনি অত্যন্ত হতাশ হন। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেয় যখন সার্পার তাকে বলেন, “আমি এই জীবন ঘৃণা করি, আর আমি আমার দেশে ফিরে যাচ্ছি।”

তাদের ঝগড়ার পর সার্পারকে একটি পার্কে দেখা যায়, যেখানে তিনি শেকিনার পাঠানো একটি টেক্সট মেসেজ দেখান। সেই মেসেজে শেকিনা তাদের মধ্যেকার বিতর্কের কিছু কথা উল্লেখ করেছিলেন।

সার্পার জানান, তিনি এখন হতাশায় ভুগছেন। তিনি অনুভব করেন, যেন সবকিছু একসঙ্গে এসে জমা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি নিচে গিয়েছিলাম, তার সঙ্গে কথা বলিনি, আমি চেয়েছিলাম সময় সব ঠিক করুক।

এখন আমরা একই বাড়িতে দুটি অপরিচিত মানুষের মতো।”

এদিকে, শেকিনা জানান, সার্পার এখন সোফায় ঘুমোচ্ছেন এবং তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত “কঠিন” ও “বিসদৃশ” হয়ে উঠেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সার্পার লস অ্যাঞ্জেলের জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছিলেন।

তিনি কিছু পার্টিতে গিয়েছিলেন এবং সেগুলো উপভোগও করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সব কিছু বদলে গেল।

শেকিনা জানান, তিনি তার বাড়ি থেকেই নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং ভবিষ্যতে একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করছেন। তিনি অনুভব করেন, সার্পার তার এই প্রচেষ্টার কদর করেন না।

তিনি বলেন, “আমি তার জন্য অনেক কিছু করছি। আমার আলমারিতে নিজের কাপড় রাখার জায়গাও নেই, তার জিনিসপত্রে ভরে গেছে।”

সার্পার তার এক তুর্কি বন্ধু ফুসুনের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, “গতকাল, আমি ফ্লাইট বুক করার জন্য কম্পিউটারের কাছে গিয়েছিলাম এবং সিট, তারিখ সবকিছু নির্বাচন করেছিলাম, শুধু একটি বোতাম টিপতে বাকি ছিল।

কিন্তু আমি নিজেকে বললাম, ‘সার্পার, তাড়াহুড়ো করো না। যদি করো, তবে আর ফেরার পথ থাকবে না।”

সার্পার আরও বলেন, “আমি শেকিনার সঙ্গে কথা বলব। হয় আমরা ভালো থাকব, নয়তো বিচ্ছেদ হবে এবং আমি এই দেশ ছেড়ে চলে যাব।”

তাদের সম্পর্কের এই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে দর্শকরা উদ্বিগ্ন। তাদের সম্পর্কের পরিণতি কী হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *