যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের বিতাড়িত করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
তাদের দাবি, ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই ধরনের পদক্ষেপ মানবিকতার পরিপন্থী।
জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার বেশ কয়েকজন ভেনেজুয়েলার নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভেনেজুয়েলার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপ গুরুতর উদ্বেগের কারণ। ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ভেনেজুয়েলা বর্তমানে গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছে।
এর ফলে খাদ্য, ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার ভেনেজুয়েলার নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে যারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাদের আশ্রয় দেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।
বিতাড়িত নাগরিকদের অনেকেই হয়তো তাদের দেশে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। তাই, তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিতাড়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধিকারকর্মীরা। তারা জানতে চান, ঠিক কতজন মানুষকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিতাড়নের কারণ কী?
এছাড়া, বিতাড়িত নাগরিকদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে যদি তার দেশে ফেরত পাঠালে জীবনহানির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
ভেনেজুয়েলার বর্তমান পরিস্থিতি সেই ধরনের একটি উদ্বেগ তৈরি করে।
এই বিতর্কের মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, খুব শীঘ্রই সরকার বিতাড়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা