**ছয় জাতি রাগবি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫: সেরা মুহূর্তগুলো এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনা**
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা রাগবি ইউনিয়ন। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ছয় জাতি রাগবি চ্যাম্পিয়নশিপ’ তার মধ্যে অন্যতম, যা ইউরোপের ছয়টি শক্তিশালী দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি শেষ হওয়া এই টুর্নামেন্টের সেরা মুহূর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেখানে খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা দর্শকদের মন জয় করেছে।
এই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় (Player of the Tournament) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের মারো ইটোজে। দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি প্রতিটি ম্যাচে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন।
তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল চারটি ম্যাচে জয়লাভ করে। এছাড়াও, ফ্রান্সের লুই বিয়েল-বিয়ারেই টুর্নামেন্টে আটটি try (рагবি খেলার স্কোর করার পদ্ধতি) করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন, যা একশ বছর আগের একটি রেকর্ড এর সমতুল্য।
তাঁর গতি, কৌশল এবং শক্তিশালী ট্যাকলিং (প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে থামানোর চেষ্টা) সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচের (Match of the Tournament) তালিকায় ছিল ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্সের ম্যাচটি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা ছিল এই ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ।
এছাড়াও, আয়ারল্যান্ড বনাম ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড ম্যাচও ছিল বেশ উপভোগ্য।
প্রিয় মুহূর্তের (Favourite Moment) কথা বলতে গেলে, ফ্রান্স দলের আক্রমণাত্মক খেলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতালির বিরুদ্ধে তাদের খেলা ছিল দেখার মতো।
খেলার কৌশল এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল অসাধারণ। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের হয়ে ১০০তম ম্যাচ খেলা জেমি জর্জের মুহূর্তটিও ছিল বিশেষ স্মরণীয়।
সবচেয়ে বড় চমক (Biggest Surprise) ছিল ইংল্যান্ডের তরুণ খেলোয়াড় হেনরি পোলকের অভিষেক এবং দুটি try করা।
এছাড়াও, ওয়েলসের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বড় জয় ছিল অপ্রত্যাশিত।
আগামী ২০২৩ রাগবি বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি কেমন হবে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ফিন স্মিথ, উইল স্টুয়ার্ট এবং বেন কারি-র মতো খেলোয়াড়দের ভালো পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
পরিশেষে, ২০২৬ সালের টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছু প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। ওয়েলস দলের ভালো খেলা এবং ইনজুরি থেকে ফিরে এসে আতোয়ান ডুপো-র (Antoine Dupont) অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখার অপেক্ষায় থাকবেন রাগবিপ্রেমীরা।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান