সাইপ্রাসে শরণার্থী নৌকাডুবি: সাতজনের মরদেহ উদ্ধার, শোকের ছায়া!

ভূমধ্যসাগরে সাইপ্রাস উপকূলের কাছে একটি শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজদের উদ্ধারে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। সোমবার (আজ) আন্তর্জাতিক জলসীমায় উদ্ধার হওয়া দুজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে।

সাইপ্রাসের উদ্ধার ও সমন্বয় কেন্দ্র জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে নৌ ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, নৌকাটিতে সিরিয়ার প্রায় ২০ জন শরণার্থী ছিল এবং তারা তুরস্কের টারটাস বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সাইপ্রাস দ্বীপটি সিরিয়া ও লেবাননের উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে প্রবেশের জন্য এটি শরণার্থীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে কমপক্ষে ১২৫ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রনটেক্সের তথ্যমতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবৈধভাবে প্রবেশের ঘটনা আগের বছরগুলোতে কমে গেলেও, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তা বেড়েছে। সাইপ্রাস সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের দেশে আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

তবে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে সাইপ্রাসে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করার সংখ্যা প্রায় ৬৯ শতাংশ কমেছে।

একইসঙ্গে, সরকারের কঠোর নীতির কারণে মে মাস থেকে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে আগমনের ঘটনাও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা পতনের পর কিছু সিরীয় শরণার্থী দেশে ফিরতে শুরু করেছে।

সাইপ্রাস সরকার জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাস থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ জন সিরীয় নাগরিক দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সরকার আরও জানিয়েছে, বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমার তুলনায় সাইপ্রাস ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *