খেলাধুলার জগত: নিউক্যাসল ইউনাইটেডের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, আবেগে ভাসলেন সমর্থকরা।
দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে কোনো বড় শিরোপা জেতার স্বাদ পায়নি নিউক্যাসল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব। অবশেষে, সেই অপেক্ষার অবসান হলো।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কারাবাও কাপ ফাইনালে লিভারপুলকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে নেয় তারা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক হিসেবে নিজের আবেগ প্রকাশ করেছেন মার্টিন ফ্যারার।
ফুটবল ভালোবাসেন এমন যে কারও কাছেই প্রিয় দলের জয় কতটা আনন্দের, তা বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। মার্টিন ফ্যারারের ভাষায়, “নিউক্যাসল সমর্থক হিসেবে খারাপ সময়গুলো চিহ্নিত করতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।”
দলের পরাজয়, হতাশাজনক পারফরম্যান্স—এগুলো যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে উইম্বলডনের কাছে ৪-০ গোলে হারের কথা এখনো ভুলতে পারেন না তিনি।
তবে, এত কষ্টের পর যখন আনন্দের দিন আসে, তখন সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে লিভারপুলের বিপক্ষে জয়লাভের পর ফ্যারারের অনুভূতি ছিল তেমনই।
তিনি বলেন, “আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। অবশেষে, বহু প্রতীক্ষিত সেই মুহূর্তটি আমার সামনে।”
ফুটবল খেলাটির প্রতি ফ্যারারের আবেগ নতুন নয়।
বহু বছর আগে, নিউক্যাসল ক্রনিকলের ‘দ্য পিঙ্ক’ পত্রিকায় তিনি একটি নিবন্ধ পড়েছিলেন, যেখানে উল্লেখ ছিল— ক্লাবটি ঘরোয়া কোনো ট্রফি জেতেনি ৩০ বছর। এরপর সময় গড়িয়েছে, হতাশাও বেড়েছে।
৩০ বছর থেকে তা ৪০, ৫০ এবং অবশেষে ৭০ বছরে এসে ঠেকেছে।
ফ্যারারের ভাষায়, “আমি সবসময় একটি ট্রফির স্বপ্ন দেখতাম।”
ফাইনালে যাওয়ার আগে ফ্যারারের মনে কিছুটা দ্বিধা ছিল।
কারণ, প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী লিভারপুল। তবে, সেমিফাইনালে তারা আর্সেনাল, নটিংহাম ফরেস্ট এবং চেলসির মতো দলকে হারিয়েছিল।
তাই, একটা ভালো খেলার প্রত্যাশা ছিল।
খেলার মাঠেও দেখা গেল দারুণ লড়াই।
খেলায় ড্যান বার্নের করা একটি গোলের মাধ্যমে নিউক্যাসল এগিয়ে যায়।
এরপর জয় ছিল সময়ের ব্যাপার।
খেলা শেষে খেলোয়াড়দের উল্লাস এবং “লোকাল হিরো” গানটি যেন ফ্যারারের চোখে জল এনে দেয়।
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছিলাম, এই জয় আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
ফ্যারারের মতে, “এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, বরং দশকের পর দশক ধরে লালিত স্বপ্নের বাস্তব রূপ।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান