আশ্চর্য! অভিবাসন অভিযানে ‘বরফ’-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ!

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে কর্মীদের ধরপাকড় নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্সির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা।

তাদের দাবি, সম্প্রতি অভিবাসন কর্মকর্তাদের অভিযানে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এইসব অভিযানে ২০২০ সালের একটি চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করা হয়েছে।

চুক্তিটি অনুযায়ী, অভিবাসন কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না। কিন্তু কর্মকর্তারা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে সন্দেহভাজনদের বাইরেও অনেককে আটক করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাদের মতে, আটককৃতদের মধ্যে অনেকে আছেন, যাদের কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই।

এমনকি একজন মার্কিন নাগরিককেও এই অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অন্যতম হলেন ৪৭ বছর বয়সী আবেল ওরোসকো ওর্টেগা।

গত ২৬শে জানুয়ারি, পরিবারের জন্য খাবার কিনে ফেরার পথে তাকে আটক করা হয়। আইনজীবীরা বলছেন, ওর্তেগাকে আটকের মূল কারণ ছিল তার ছেলের প্রতি সন্দেহ।

ওর্তেগার ছেলেটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল। তবে ওর্তেগার কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। বর্তমানে তিনি একটি কারাগারে বন্দী আছেন।

ওর্তেগার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার স্ত্রী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তারা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। এমতাবস্থায় ওর্তেগার অনুপস্থিতিতে পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি মিসৌরির একটি মেক্সিকান রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, কর্মকর্তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মতো পর্যাপ্ত কারণ ছিল না, তবুও তারা কর্মীদের আটক করে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো আটককৃতদের মুক্তি, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অভিবাসন বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানিয়েছে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার শিকার হওয়াদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, ১৯ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং একজন মার্কিন নাগরিককে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এপ্রিল মাসের শুরুতে এই অভিযোগের জবাব দেবে বলে জানা গেছে। তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *