টেক্সাসে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে এক ধাত্রীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন। মারিয়া মার্গারিটা রোহাস নামের ৪৮ বছর বয়সী ওই নারীকে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো এবং লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ টেক্সাসে গর্ভপাত প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এখানে কেবল মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য গর্ভপাতের অনুমতি রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “টেক্সাসে জীবন পবিত্র। আমি সবসময় গর্ভপাতের বিরুদ্ধে কাজ করব এবং রাজ্যের আইন রক্ষা করব। যারা অবৈধভাবে গর্ভপাত করে নারীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ অনুযায়ী, মারিয়া মার্গারিটা রোহাস হিউস্টন এলাকার অন্তত তিনটি ক্লিনিকে অবৈধ গর্ভপাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওয়ালার কাউন্টি জেলার আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোহাসকে ৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয় এবং পরের দিন তিনি জামিনে মুক্তি পান। আদালত records এ তার কোনো আইনজীবীর নাম পাওয়া যায়নি।
রোহাসের ক্লিনিকগুলোর ফেসবুক পেজে শারীরিক পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড এবং ভ্যাকসিনের মতো বিভিন্ন সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। টেক্সাসে গর্ভপাত বিষয়ক আইন অত্যন্ত কঠোর।
বর্তমানে এখানে গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এই রাজ্যে গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনের ব্যতিক্রমগুলো অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট। তবে সেখানকার আইনপ্রণেতারা বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য একটি বিলের খসড়া তৈরি করেছেন।
অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে রোহাসের সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা প্রদানের জন্য তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, রোহাসের ক্লিনিকগুলো বন্ধ করার জন্য তারা একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৩ সালের Roe বনাম Wade মামলার রায় বাতিল করার পর থেকে অবৈধ গর্ভপাত ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে খুব কমই ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। লুইসিয়ানা রাজ্যেও সম্প্রতি একজন নিউ ইয়র্কের ডাক্তারের বিরুদ্ধে অনলাইনে গর্ভপাতের ওষুধ সরবরাহ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন একই অভিযোগে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলাও করেছেন।
তথ্যসূত্র: Associated Press