সুদীক্ষা কাণ্ডের ‘শেষ সাক্ষী’র মুক্তি চেয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর আবেদন!

পिट्सবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুদিক্ষা কোনাঙ্কির (Sudiksha Konanki) রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডমিনিকান রিপাবলিকের পুন্তা কানায় বেড়াতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।

এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া জশুয়া স্টিভেন রিব (Joshua Steven Riibe) নামের এক ব্যক্তির মুক্তি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী সুদিক্ষা গত ৩রা মার্চ বন্ধুদের সঙ্গে পুন্তা কানায় ঘুরতে যান। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুদিক্ষা খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং তিনি চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।

ঘটনার দিন রিব এবং আরও কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর একটি দল সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি শেষবার সুদিক্ষাকে দেখেছিলেন।

খবরে প্রকাশ, ঘটনার পর থেকে জশুয়া স্টিভেন রিবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দেশটির পুলিশ। রিবের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে এবং তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

যদিও তাকে এখনো পর্যন্ত সুদিক্ষা নিখোঁজের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনা হয়নি।

তবে রিবের দাবি, তাকে ‘অনিয়মিত পরিস্থিতিতে’ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এমনকি অনুবাদক বা আইনজীবীর সাহায্য ছাড়াই তাকে জেরা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা-মা।

রিবের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে মুক্তি দিতে এবং তার অধিকার রক্ষার জন্য তারা আদালতে আবেদন করেছেন।

এদিকে, লাউডন কাউন্টির শেরিফ মাইকেল চ্যাপম্যান (Michael Chapman) জানিয়েছেন, রিব পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন এবং তার বক্তব্যে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, ঘটনার দিন রাতের বেলা সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তোলা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যায়, সুদিক্ষা ও তার বন্ধুরা একটি বারে বসে গল্প করছিলেন।

পরে তাদের সমুদ্র সৈকতে যেতে দেখা যায়। ভোর ৫টার দিকে কয়েকজন বন্ধুকে সৈকত ত্যাগ করতে দেখা গেলেও, সুদিক্ষাকে তাদের সঙ্গে দেখা যায়নি।

রিব জানিয়েছেন, সমুদ্রের ঢেউয়ে সুদিক্ষা ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তিনি জানান, তিনি লাইফগার্ডের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও সমুদ্রের অভিজ্ঞতা তার ছিল না।

তিনি সুদিক্ষাকে শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন। শেষবার যখন তিনি সুদিক্ষাকে দেখেন, তখন তিনি হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ছিলেন।

সুদিক্ষা কোনাঙ্কির একটি সরং সৈকতের একটি চেয়ারের ওপর পাওয়া গেছে। তবে সেখানে কোনো ধরণের সহিংসতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গতঃ, সুদিক্ষা যে সৈকতে নিখোঁজ হয়েছেন, সেই একই সৈকতে জানুয়ারী মাসে তীব্র স্রোতের কারণে চারজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *