মঞ্চ কাঁপানো ‘দ্য ভিভিয়েন’ এর অকাল মৃত্যু, কেটামিনের শিকার?

ব্রিটিশ রূপান্তরকারী শিল্পী দ্য ভিভিয়েন, যাঁর আসল নাম জেমস লি উইলিয়ামস, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কেটামিন নামক মাদক সেবনের কারণে তাঁর এই পরিণতি হয়েছে।

২০১৯ সালে ‘রুপল’স ড্র্যাগ রেস ইউকে’ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।

কেটামিনের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং মাদকাসক্তি মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য তাঁর পরিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। শিল্পী উইলিয়ামসের বোন চ্যানেল উইলিয়ামস জানান, যুক্তরাজ্যের মানুষের মধ্যে কেটামিনের ব্যবহার বাড়ছে।

তাই তাঁরা চান, এই মাদকটির কুফল সম্পর্কে সবাই অবগত হোক।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এই কঠিন সময়ে তাঁরা মাদক বিরোধী কিছু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য হলো, এই মাদক সেবনের বিপদ সম্পর্কে আরও বেশি মানুষকে জানানো।

কেটামিন একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক মাদক, যা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। আমরা যদি এই মাদকটির বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পারি এবং যারা কেটামিন আসক্তির সঙ্গে লড়ছেন, তাদের সাহায্য করতে পারি, তবে এই দুঃখজনক ঘটনার পরেও ইতিবাচক কিছু ঘটবে।”

চ্যানেল উইলিয়ামস

কেটামিন মূলত পশুদের অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে যুক্তরাজ্যে এটি স্বল্পমেয়াদী ব্যথা উপশমের জন্য এবং কিছু ক্ষেত্রে চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

এমনকি, এটি বিষণ্ণতার চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কেটামিন ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্ত যুক্তরাজ্যে কেটামিনকে বর্তমানে ‘ক্লাস বি’ মাদক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। তবে এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে, এটিকে ‘ক্লাস এ’ মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রায় ২ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ এই মাদক ব্যবহার করেছে।

দ্য ভিভিয়েনের প্রয়াণে তাঁর সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ‘ডান্সিং অন আইস’ এর বিচারক ওটি মাবুসে তাঁকে একজন অসাধারণ শিল্পী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, ‘ড্র্যাগ রেস’-এর বিচারক মিশেল ভিজেজ বলেন, দ্য ভিভিয়েন ছিলেন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *