৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বর্তমানে ফুসফুসের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতেও তিনি যুদ্ধের অসারতা নিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।
আগামী ৮ এপ্রিল ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তার সাক্ষাতের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার মধ্যেই এই খবর জানা গেছে।
সম্প্রতি ইতালির একটি দৈনিককে লেখা চিঠিতে পোপ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কূটনীতি ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অসুস্থতা তাকে অনেক কিছুই নতুন করে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে, যার মধ্যে যুদ্ধের ‘অবিবেচক’ দিকটি অন্যতম।
ভ্যাটিকান সূত্রে খবর, চিকিৎসকেরা পোপের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি এখন দিনের বেলায় স্বাভাবিক অক্সিজেনের সাহায্য নিতে পারছেন এবং রাতে নন-ইনভেসিভ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন মাস্ক ব্যবহারের সময়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।
তবে কবে নাগাদ তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি।
এদিকে, বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে, ৮ এপ্রিল ভ্যাটিকানে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে পোপের সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সাধারণত, এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সফর কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিনের অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আয়োজন করা হয়।
সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটলে পোপ ততদিনে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোপ ফ্রান্সিসের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি তার ব্যক্তিগত চ্যাপেলে বসে প্রার্থনা করছেন।
ছবিতে তার নাকে অক্সিজেনের নল দেখা যায়নি।
পোপের এই ছবি এবং তার চিঠি প্রকাশের মাধ্যমে অনেকেই মনে করছেন, তিনি তার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগের পরিবর্তে জনমনে আস্থা যোগাতে চাইছেন।
অন্যদিকে, ভ্যাটিকানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন জানিয়েছেন, পোপের পদত্যাগ করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একেবারেই না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।