ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী আর্লো পার্কস, যিনি তাঁর গভীর অনুভূতির গান এবং কবিতার জন্য পরিচিত, বর্তমানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। তাঁর গানগুলোতে জীবনের ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলো গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর অ্যালবাম ‘কলাপসড ইন সানবিমস’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর্লো পার্কস তাঁর গানের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন।
তাঁর একটি জনপ্রিয় গান ‘ব্ল্যাক ডগ’, যা একজন বন্ধুর মানসিক কষ্টের প্রতি উৎসর্গীকৃত। তিনি মনে করেন, এই ধরনের গান লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো, আর কেউ এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা, তা খুঁজে বের করা।
গান লেখার পাশাপাশি, আর্লো বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন। তিনি লন্ডনের একটি আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা ‘ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট লিভিং মিসারেবলি’ (CALM)-এর সাথে কাজ করেছেন।
এছাড়াও, তিনি ইউনিসেফের ইয়ুথ অ্যাডভাইসরি বোর্ডের সাথে মিলিত হয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে প্রকাশের জন্য একটি কবিতা লিখেছেন। ২০২৩ সালে তিনি ইউনিসেফের সর্বকনিষ্ঠ ইউকে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হন। এই দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন, তিনি তাঁর গানের জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে সমাজের জন্য কিছু করতে চান।
আর্লো পার্কস তাঁর প্রথম কূটনৈতিক সফরে সিয়েরা লিওনে যান, যেখানে তিনি তরুণ কর্মীদের সাথে কাজ করেন। তিনি সেখানে কর্মশালায় অংশ নেন এবং মাদকাসক্তি ও বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া নারীদের সহায়তা করেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, তরুণীদের স্যানিটারি প্যাড তৈরি করতে শেখা এবং পরে তাদের ছোট বোন ও বন্ধুদের শেখানোর দৃশ্যটি ছিল খুবই সুন্দর। আর্লো নিজেকে তাঁদের গল্পের একজন অনুবাদক এবং মুখপাত্র হিসেবে দেখেন।
তিনি চান, বিশ্ব তাঁদের কাজ সম্পর্কে জানুক। আর্লো তাঁর গানের মাধ্যমে একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করতে চান, যেখানে মানুষজন নিজেদের ভালোবাসার কথা বলতে পারবে এবং নিজেদের খুঁজে পাবে।
তাঁর মতে, গানের নরম সুর এবং কণ্ঠের মাধুর্য শ্রোতাদের জন্য প্রশান্তির জায়গা তৈরি করে। তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক