মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সম্পর্ক তাদের নিজ দেশে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন উঠেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করার পর মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্নি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমও ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চেষ্টা করছেন। সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে এবং শুল্কের বিষয়ে নমনীয়তা দেখিয়ে তিনি জনগণের সমর্থন আদায় করেছেন। বিভিন্ন জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা অতীতের যেকোনো মেক্সিকান প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ সত্ত্বেও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে জনগণের মধ্যে তাঁর ওপর আস্থা বেড়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবেলায় তাঁদের ভূমিকার কারণে তাঁদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সঙ্গে নেতাদের সম্পর্ক বিভিন্ন দেশে তাঁদের রাজনৈতিক ভাগ্যে পরিবর্তন আনছে। বিশেষ করে, যারা ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন, তাঁরা জনগণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা