মার্কিন কোচ পচেত্তিনো: ‘৫-১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রই হবে বিশ্বসেরা’

**মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল: ২০২৬ বিশ্বকাপে শীর্ষস্থানে আসার স্বপ্ন দেখছেন কোচ পচেত্তিনো**

বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আর কয়েক বছর পরেই, এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তার দল ভালো করবে।

একইসঙ্গে ফুটবল বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী তিনি। পচেত্তিনো মনে করেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল বিশ্বের এক নম্বর দল হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল খেলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। খেলোয়াড় এবং এখানকার মানুষের মধ্যে রয়েছে জেতার মানসিকতা। এখানকার ফুটবল ফেডারেশনও (ইউএস সকার) চাইছে দলটিকে শীর্ষে নিয়ে যেতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পচেত্তিনো দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। ট্রাম্প ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে?

জবাবে ইনফান্তিনো হ্যাঁ বলেছিলেন। পচেত্তিনোর মতে, ইনফান্তিনোর এই উত্তরে তিনি হতাশ হয়েছিলেন। তার মতে, “এমন প্রশ্নের উত্তরে আমার বলা উচিত ছিল, আপনারা আপনাদের মহান কোচ পচেত্তিনোকে জিজ্ঞাসা করুন।

পচেত্তিনো মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল এখনো সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি, যতটা পাওয়ার কথা। এখানে ফুটবলারদের সুযোগ তৈরি করতে এবং খেলার মান উন্নত করতে আরও অনেক কাজ করা বাকি।

তবে তিনি বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন সঠিক পথে রয়েছে। পচেত্তিনো এর আগে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালে টটেনহ্যামের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে আয়াক্সের বিপক্ষে জয় ছিল তার কোচিং জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।

তবে তার আক্ষেপ, টটেনহ্যামের সঙ্গে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল খেলার সংস্কৃতি সম্পর্কে পচেত্তিনোর আগ্রহের একটি বড় কারণ হলো ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশে কাজ করা।

এখানে খেলোয়াড়দের খেলার ধরন এবং জীবনযাত্রা ইউরোপ থেকে বেশ আলাদা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং তাদের সেরাটা বের করে আনতে তিনি নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আগে আটলান্টায় একটি অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।

পচেত্তিনো মনে করেন, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ খেলা’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। বর্তমানে পচেত্তিনো যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করছেন।

তার অধীনে এখন পর্যন্ত খেলা ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয়লাভ করেছে তার দল। তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো ফল করার জন্য তার দল প্রস্তুত। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *