দ্যাখুন: দুতার্তের গ্রেফতার, কী বলছেন নোবেলজয়ী?

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা বলেছেন, এই ঘটনা আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখানোর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

দুতার্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এ তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মারিয়া রেসা মনে করেন, দুতার্তের এই গ্রেফতার হাজার হাজার ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের পথ খুলে দেবে। তার মতে, “এই ঘটনার মাধ্যমে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি হবে এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শিত হবে।

২০১৬ সালে ফিলিপাইনে দুতার্তের ক্ষমতা গ্রহণের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাপকহারে ব্যবহারের বিষয়ে মারিয়া রেসা তার উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন দুতার্তের সরকার অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার ছড়িয়ে জনমতকে প্রভাবিত করেছে।

বর্তমানে, একই ধরনের কৌশল বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। রেসা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ফিলিপাইনে যা ঘটেছিল, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সেই পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম হতে পারে। যারা সত্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত নয়, তারা তাদের অধিকার হারাবে।

ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।

মারিয়া রেসা মনে করেন, দুতার্তের গ্রেফতারের মাধ্যমে এই ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।

বার্লিনে অনুষ্ঠিত একটি “জনগণের আদালতে” মারিয়া রেসা বক্তব্য রাখেন। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার, মেরুকরণ, এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।

এই আদালত ফেসবুকের একজন হুইসেলব্লোয়ার, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের বক্তব্য শোনে। আদালত শুক্রবার তাদের রায় ঘোষণা করবে।

২০২১ সালে মারিয়া রেসা মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তিনি বলেন, “যদি আপনারা আপনাদের অধিকার রক্ষা না করেন, তাহলে তা পুনরায় ফিরে পেতে অনেক সময় লাগবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *