মহিলাদের খেলাধুলায় বিশ্বজুড়ে আয়ের পরিমাণ বাড়ছে, যা ২০২৩ সালে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ডেলয়েটের এক নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি।
খেলাধুলা বিষয়ক এই পরামর্শক সংস্থাটি ম্যাচ ডে, সম্প্রচার এবং বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে আয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ২০২৪ সাল নারী ক্রীড়ার জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক বছর, যা প্রত্যাশা ভেঙে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্কেটবল এবং ফুটবল এখনো সবচেয়ে বেশি আয় করা দুটি খেলা। বাস্কেটবল একাই ৪৪ শতাংশ এবং ফুটবল ৩৫ শতাংশ আয় করে।
বিশ্ব বাজারে উত্তর আমেরিকা (৫৯%) এবং ইউরোপ (১৮%) শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।
তবে, আয়ের এই বিশাল বৃদ্ধির মধ্যেও কিছু ক্ষেত্রে পার্থক্য এখনো বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, ফিফার বার্ষিক নারী ফুটবল বেঞ্চমার্কিং রিপোর্টে দেখা গেছে, একজন মহিলা ফুটবলারের গড় আয় বছরে ১০,৯০০ ডলার।
যদিও এই সংখ্যাটি কয়েকটি ক্লাবের কারণে প্রভাবিত, যেখানে খেলোয়াড়দের গড় বেতন ৫০,০০০ ডলারের বেশি। ফলে, অনেক খেলোয়াড় এই গড় আয়ের চেয়ে অনেক কম পান।
এই আয়ের তারতম্য সুযোগ-সুবিধা থেকেও স্পষ্ট। যে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের ৫,০০০ ডলারের বেশি বেতন দেয়, তারা স্বাস্থ্য বীমা এবং আবাসনের মতো সুবিধা দিতে বেশি আগ্রহী।
ফিফা আরও জানিয়েছে, বেশি বেতন খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডেলয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের বিশেষজ্ঞ জেনিফার হাসকেল এই বিষয়ে বলেন, নারী ক্রীড়ায় ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেলেও উন্নতির আরও অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, “নারী ক্রীড়া খেলার ধারা পরিবর্তন করছে এবং শিল্পের ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে প্রচলিত ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ২০২৫ এবং এর পরে খেলাধুলা শিল্প, ব্র্যান্ড অংশীদার এবং বিনিয়োগকারীদের ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে।
কৌশলগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা একটি পেশাদার বিশ্ব দৃশ্য তৈরি করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিল্প তৈরি করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “নারী ক্রীড়া সংস্থাগুলোর জন্য সঠিক কাঠামো তৈরি করা, বিনিয়োগের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক শিল্পে তাদের স্থান নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন