যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) সদর দফতরে কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পর এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ফেডারেল কর্মীদের সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার ফলস্বরূপ কর্মীরা কর্মপরিবেশে চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছেন।
কর্মীরা অফিসে ফিরে সেখানকার চিত্র দেখে হতবাক হয়েছেন। সোমবার থেকে এফডিএ-এর সকল কর্মীকে, যাদের সংখ্যা প্রায় ২০,০০০, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে যোগ দিতে বলা হয়।
কর্মীদের অভিযোগ, অফিসে ফেরার পর তারা দীর্ঘ যানজট ও নিরাপত্তা লাইনের সম্মুখীন হন। এছাড়া অফিসে পর্যাপ্ত বসার স্থান, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের অভাব দেখা যায়।
কর্মীদের জন্য অফিসের স্থান সংকুলান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, অফিসে ঢোকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে, অনেক সময় এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।
অফিসে প্রবেশের পর তারা দেখতে পান, চেয়ার নেই, টেবিল ভাঙা, এমনকি অনেক অফিসের দরজায় তালা লাগানো। কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, অফিসের পরিস্থিতি ‘পুরোপুরি বিশৃঙ্খল’, যা তাদের কাজের স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করছে।
কর্মীরা জানান, অফিসের স্থান সংকটের কারণে তাদের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে গাদাগাদি করে কাজ করতে হচ্ছে। মিটিং ও জরুরি আলোচনার জন্য পর্যাপ্ত স্থান নেই।
অনেককে করিডোর ও লবিতে অস্থায়ীভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। কর্মীদের খাবার পানিরও সংকট রয়েছে। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে এফডিএ-এর বিভিন্ন ভবনে ‘লিজোনেলা’ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা ‘লিজোনেয়ার্স রোগ’ সৃষ্টিকারী জীবাণু।
এফডিএ মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। তবে কর্মীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ফেডারেল ইউনিয়নের স্থানীয় শাখার প্রতিনিধি অ্যান্টনি লি জানান, কর্মীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের আবেদন করা হলেও, তাতে সাড়া মেলেনি। এই ঘটনার কারণে এফডিএ-এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস