ডিজনি’র নতুন লাইভ-অ্যাকশন সিনেমা ‘স্নো হোয়াইট’ মুক্তির অপেক্ষায় বিশ্বজুড়ে সিনেমাপ্রেমীরা। ১৯৩৭ সালের ক্লাসিক অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডয়ার্ফস’ -এর এই পুনর্নির্মাণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
একের দিকে যেমন সিনেমাটির নির্মাণশৈলী নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে, তেমনই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এর বিভিন্ন দিক।
নতুন ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন র্যাচেল জেগলার এবং গ্যাল গ্যাডট।
এছাড়াও, বামন চরিত্রগুলোও রয়েছে, তবে তাদের উপস্থাপন নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। জানা যায়, ডিজনি এই সিনেমায় মূল গল্পের কিছু পরিবর্তন এনেছে, যা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত।
ছবিতে স্নো হোয়াইটের চরিত্রে কলাম্বিয়ান বংশোদ্ভূত র্যাচেল জেগলারকে নির্বাচন করা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, “স্নো হোয়াইটের ত্বক তো বরফের মতো সাদা”- এমন একটি চরিত্রে কেন একজন ভিন্ন বর্ণের অভিনেত্রীকে নেওয়া হলো? যদিও জেগলার এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সিনেমাটি নির্মাণের শুরু থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
এমনকি, অভিনেতা পিটার ডিঙ্কলেজও সিনেমাটির গল্প নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।
ডিঙ্কলেজ এর আগে বলেছিলেন, গল্পটিতে সাতজন বামন একসঙ্গে একটি গুহায় বাস করে—এই ধারণাটি বেশ পশ্চাৎপদ।
তবে, ডিজনি কর্তৃপক্ষ বিতর্কগুলো বিবেচনা করে, গল্পে কিছু পরিবর্তন এনেছে এবং বামন চরিত্রগুলোর চিত্রায়ণে নতুনত্ব যোগ করেছে।
আসল ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমাটি ছিল ওয়াল্ট ডিজনি’র এক অসাধারণ সৃষ্টি।
এটি ছিল প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র, যা সিনেমার ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।
সেই সময়ে সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল।
সিনেমাটির বাজেট ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলার এবং আয় হয়েছিল প্রায় ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে ডিজনি।
নতুন ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে সিনেমাটি প্রায় ৪৮ থেকে ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারে।
যদিও এটি আগের সিনেমাটির মতো বিশাল ব্যবসা নাও করতে পারে, তবে ক্লাসিক গল্পের আবেদন এবং নতুনত্বের মিশেলে সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করতে পারবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন