মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) -র বিজ্ঞানীরা চাকরি হারাতে পারেন, গবেষণা দপ্তরও বন্ধের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভবত ১,০০০ এর বেশি বিজ্ঞানীকে ছাঁটাই করতে পারে এবং গবেষণা দপ্তর (Office of Research and Development, গবেষণা ও উন্নয়ন দপ্তর) বিলুপ্ত করতে পারে।
এই পদক্ষেপ পরিবেশ দূষণ থেকে মানুষ ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষার জন্য প্রণীত নিয়ম-কানুন তৈরিতে সহায়তা করে এমন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দুর্বল করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান, মহাকাশ ও প্রযুক্তি বিষয়ক হাউস কমিটির ডেমোক্রেট কর্মীগণ নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, সম্ভবত ১,১৫৫ জন রসায়নবিদ, জীববিজ্ঞানী, বিষাক্ততাবিদ এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
এই সংখ্যা গবেষণা কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ কর্মী। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ছাঁটাইকে ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করা এবং কার্যকারিতা বাড়ানোর বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার দীর্ঘদিনের যে মিশন, ইপিএ সেই মিশন থেকে সরে আসবে।
ইপিএ-এর বর্তমান প্রশাসক লি জেল্ডিন জানিয়েছেন, তিনি সংস্থাটির বাজেট ৬৫ শতাংশ কমাতে চান। এমনটা হলে বায়ু ও জলের গুণগত মান পর্যবেক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং সীসা দূষণ রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে কর্মী ছাঁটাই করতে হবে।
এছাড়া, ৫০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ের ক্ষেত্রে এখন থেকে এলন মাস্কের তথাকথিত ‘সরকার দক্ষতা বিভাগ’-এর অনুমোদন নিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসওম্যান জোই লোফgren (Zoe Lofgren), যিনি বিজ্ঞান বিষয়ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট, এক বিবৃতিতে বলেছেন, কংগ্রেস কর্তৃক গঠিত ইপিএ-এর গবেষণা দপ্তরটি বাতিল করা বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, ইপিএ-কে অবশ্যই জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে, যা গবেষণা ও উন্নয়ন দপ্তর (Office of Research and Development) ছাড়া সম্ভব নয়।
পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ‘ন্যাচারাল রিসোর্সেস ডিফেন্স কাউন্সিল’-এর প্রধান বিজ্ঞান কর্মকর্তা টিকোরা জোনস বলেছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আবারও পরিবেশ দূষণকারীদের সুবিধা করে দেবে।
তিনি কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ইপিএ-এর বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাঁদেরকে পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত রাখতে।
তথ্য সূত্র: The Guardian