মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু বিষয়ক প্রকল্পে বরাদ্দকৃত প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন টাকার তহবিল বাতিল করার ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত এই অর্থ ছাড়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারক টনিয়া চুটকান।
২০২২ সালের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’-এর অধীনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য এই তহবিল গঠন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় তিনটি জলবায়ু বিষয়ক সংস্থাকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ১.৫ ট্রিলিয়ন টাকা) দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, বিশেষ করে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ)-র প্রধান লি জেলডিন এই অর্থ ছাড়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। তিনি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অর্থ অপব্যবহার, দুর্নীতি এবং স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তোলেন।
আদালতে শুনানিতে বিচারক চুটকান উল্লেখ করেন, ইপিএ-র পক্ষ থেকে অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এই কারণে তিনি আপাতত তহবিল বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নিষেধ করেছেন।
একইসঙ্গে, সিটি ব্যাংককে, যারা ইপিএ-র পক্ষে এই অর্থ জমা রেখেছিল, সেই টাকা সরকার বা অন্য কারও কাছে হস্তান্তরের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
আদালতের এই আদেশের ফলে জলবায়ু বিষয়ক সংস্থাগুলো আপাতত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লাইমেট ইউনাইটেড ফান্ড, কোয়ালিশন ফর গ্রিন ক্যাপিটাল এবং পাওয়ার ফরওয়ার্ড কমিউনিটিস।
ক্লাইমেট ইউনাইটেড-কে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার, কোয়ালিশন ফর গ্রিন ক্যাপিটাল-কে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং পাওয়ার ফরওয়ার্ড কমিউনিটিস-কে ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল।
তহবিল বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংস্থাগুলো আদালতে গিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, ট্রাম্প প্রশাসন কোনো প্রকার উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ক্লাইমেট ইউনাইটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেথ বাফোর্ড আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং জলবায়ু বিষয়ক প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
অন্যদিকে, ইপিএ প্রধান লি জেলডিন বলেছেন, এই তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে তদারকির সুযোগ কম রাখা হয়েছিল। তিনি এই অর্থ সরকারি কোষাগারে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।
তথ্য সূত্র: এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস