হ্যারি: ভিসা নিয়ে গোপন ফাঁস! আতঙ্কে রাজপুত্র?

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির ভিসা আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে গোপন রাখা হয়েছে তাঁর ‘সঠিক অবস্থান’, কারণ তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, হ্যারির ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার এবং মিডিয়া কর্মীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি রক্ষণশীল গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ‘হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’-এর করা তথ্যের অধিকার (ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন) আইনের আওতায় আদালতের নির্দেশে নথিগুলো প্রকাশ করা হয়। ফাউন্ডেশনটি দাবি করে আসছিল যে, প্রিন্স হ্যারি তাঁর আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এ মাদক ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, যা সম্ভবত তাঁর ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারত।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনপত্রে মাদক ব্যবহারের অতীত ইতিহাস জানতে চাওয়া হয় এবং এর ভিত্তিতে ভিসা প্রত্যাখ্যান করারও নিয়ম রয়েছে।

যদিও প্রকাশিত নথিতে প্রিন্স হ্যারির ভিসার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার প্রকাশিত এই নথিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করলে হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেইসাথে গণমাধ্যম এবং অন্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মনোযোগের কারণ হতে পারে।’

নথিগুলোতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদি তাঁর [গোপন করা হয়েছে] বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়, তবে হয়রানির একটি গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে। তাই, এই নথিতে গোপনীয়তা রক্ষার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে জনসাধারণের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।’

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘প্রিন্স হ্যারিকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য নথিগুলো প্রকাশ করা উচিত’- এমন যুক্তি দেওয়া হলেও, সরকার কোনো ভুল করেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

প্রিন্স হ্যারি তাঁর আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এ মাদক ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়সে প্রথম কোকেন ব্যবহার করেন তিনি।

মারিজুয়ানা সেবনের অভিজ্ঞতা নিয়েও তিনি লিখেছেন। এছাড়া, বন্ধুদের সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিনেত্রী কোর্টনি কক্সের বাড়িতে এক পার্টিতে গিয়ে “ম্যাজিক মাশরুম”-এর নেশা করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কোল ২০২০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *