গন্ধ না থেকেও যেভাবে ক্রিকেটে রাজত্ব করেছেন দুই তারকা!

শিরোনাম: ঘ্রাণশক্তিহীন হয়েও ক্রিকেটে সফল অ্যাথারটন ও ক্যাটিচ

ক্রিকেট খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য শারীরিক সক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেস, দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেয়।

তবে, খেলাধুলার জগতে এমন কিছু উদাহরণ আছে যেখানে শারীরিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। এমনই দুজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্রিকেটার হলেন মাইক অ্যাথারটন এবং সাইমন ক্যাটিচ।

তাদের মধ্যে একটি বিশেষ মিল ছিল, আর তা হলো ঘ্রাণশক্তির অভাব।

ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার মাইক অ্যাথারটন ছোটবেলা থেকেই ঘ্রাণহীনতার শিকার। তার মা প্রথম এটি লক্ষ করেন যখন অ্যাথারটনের বয়স ছয় বা সাত বছর।

তিনি জানান, তাদের বাড়ির কাছে শুকরের খামার ছিল, যেখানে নিয়মিত দুর্গন্ধ হতো। কিন্তু অ্যাথারটন সেই গন্ধ টের পেতেন না।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময় যখন সবাই ঘ্রাণশক্তি হারানোর কথা বলছিল, তখন প্রথমবারের মতো তিনি অনুভব করেন, তিনি আসলে কতটা বঞ্চিত।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার সাইমন ক্যাটিচ এক ধরনের অসুস্থতার কারণে ঘ্রাণশক্তি হারান।

এই ঘটনার পর তিনি যখন জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন, তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তরুণ রিকি পন্টিং।

ক্যাটিচের ঘ্রাণহীনতা হয়তো তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলেনি, কিন্তু এর কারণে তিনি অনেক সাধারণ বিষয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

তাদের ঘ্রাণহীনতা কি তাদের খেলাকে প্রভাবিত করেছে? হয়তো করেছে, হয়তো করেনি।

হয়তো মাঠের তীব্র উত্তেজনায় শান্ত থাকতে এটি তাদের সাহায্য করেছে। আবার, অনেক সাধারণ ভালো লাগা থেকে তারা ছিলেন বঞ্চিত।

তবে, অ্যাথারটন এবং ক্যাটিচের গল্প আমাদের অন্য একটি দিক দেখায়। শারীরিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কিভাবে একজন মানুষ তার ইচ্ছাশক্তি ও একাগ্রতা দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারে।

তাদের জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, যা প্রমাণ করে, প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাই আসল।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *