গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ: গণহত্যার ভয়াবহতা যেন থামছেই না
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সেখানকার মানুষের জীবনে সীমাহীন দুঃখ আর কষ্টের জন্ম দিয়েছে। প্রতিদিনই বোমা বর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি, খাদ্য সংকট আর ধ্বংসের বিভীষিকা যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখানকার অধিবাসীরা ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোও রেহাই পাচ্ছে না, যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, গাজার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রধান শিকার হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অসংখ্য শিশুও রয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে সেখানকার একজন বাসিন্দা বলেন, “আমরা যেন এক বিভীষিকাময় নরকের মধ্যে বাস করছি। জীবন ধারণের জন্য প্রতিনিয়ত মিথ্যা আশ্রয় নিতে হচ্ছে। যখন চারপাশে এত মৃত্যু আর ধ্বংস, তখন সত্যিগুলো মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।” তিনি আরও জানান, উদ্বাস্তু হওয়ার পর যখন তিনি আবার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন, তখনও সেখানে কোনো শান্তি ছিল না। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।
গাজার মানুষের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা নেওয়া জরুরি। গাজাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি, সেখানকার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা