বিমানে সিট না ছাড়ায় ‘খারাপ’ তকমা! আপনি কি সঠিক ছিলেন?

আকাশপথে ভ্রমণের সময় সিট পরিবর্তনের অনুরোধ নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি, একটি ঘটনায় এক যাত্রী সিট পরিবর্তন করতে রাজি না হওয়ায় অন্য এক যাত্রীর রোষানলে পড়েন।

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, যা যাত্রী অধিকার এবং শিষ্টাচারের প্রশ্নগুলো নতুন করে সামনে এনেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি অভ্যন্তরীণ রুটে ভ্রমণকালে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, এক নারী তাঁর দুই সন্তানের সঙ্গে বসার জন্য অন্য এক যাত্রীর কাছে সিট পরিবর্তনের অনুরোধ করেন।

ওই যাত্রী, যিনি আগে থেকেই তাঁর পছন্দসই আসনে বসেছিলেন, সিট পরিবর্তন করতে রাজি হননি। এতে ওই নারী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তাঁদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়।

পরবর্তীতে বিমান অবতরণের পরও ওই নারী ওই যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

বিষয়টি নিয়ে অনেকে জানতে চান, ওই যাত্রী কি ঠিক কাজটি করেছিলেন? নাকি তাঁর সিট পরিবর্তন করা উচিত ছিল?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা যাত্রী অধিকার এবং শিষ্টাচারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। আইনজ্ঞদের মতে, একজন যাত্রী তাঁর টিকিটের বিনিময়ে যে আসনটি নির্দিষ্ট করেছেন, সেখানে বসার অধিকার তাঁর রয়েছে।

তাই, সিট পরিবর্তন করতে রাজি না হলে, তিনি কোনো ভুল করেননি।

তবে, শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য কারো সিট পরিবর্তনের অনুরোধকে সম্মান জানানো উচিত। এক্ষেত্রে, অনুরোধটি গ্রহণ করা বা না করার স্বাধীনতা ব্যক্তির রয়েছে।

যদি সিট পরিবর্তন করলে অন্যের কোনো অসুবিধা না হয়, অথবা নিজেরও সুবিধা হয়, তবে সিট পরিবর্তন করা যেতে পারে। তবে, অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রেও ভদ্রতা বজায় রাখা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, উড়োজাহাজের কর্মীদের এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। কোনো যাত্রী খারাপ আচরণ করলে, অথবা কারো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, সেক্ষেত্রে বিমান কর্মীরা ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য অনেক যাত্রীও তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, একসঙ্গে বসার এতই যদি প্রয়োজন ছিল, তাহলে টিকিট কাটার সময় সিট পছন্দ করার সুযোগ ছিল।

আবার কেউ বলেছেন, বিমানকর্মীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারত।

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, আকাশপথে ভ্রমণের সময় সিট পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের দেশেও গণপরিবহনে সিট নিয়ে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

এক্ষেত্রে যাত্রী অধিকারের পাশাপাশি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শিষ্টাচার বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *