ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা যদি তাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের “পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন” করে দেওয়া হবে। হুতিদের এই হুমকির কারণ হলো লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা এবং ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর, যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের শক্ত ঘাঁটিতে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। ট্রাম্প সরাসরি ইরানের উপর হুতিদের সমর্থন যোগানোর অভিযোগ এনেছেন এবং তেহরানকে অবিলম্বে তাদের সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের মতে, হুতিরা ইরানের একটি অংশ এবং ইরানের উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হুতিদের ছোড়া প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরান সরকার নিক্ষেপ করেছে বলেই ধরা হবে এবং এর ফলস্বরূপ ইরানকে এর ‘ভয়াবহ’ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
অন্যদিকে, হুতি বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকি ও বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখবে।
২০২৩ সাল থেকে, হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আগে, ট্রাম্প প্রশাসন হুতিদের “বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। তবে, বর্তমান বাইডেন প্রশাসন এই তালিকাটিকে কিছুটা শিথিল করে “বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী” হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হুতিদের এই হামলা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোহিত সাগরের এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা।
