নতুন কোচ থমাস টুখেলের অধীনে, মাঠের খেলায় খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের ওপর জোর দিচ্ছে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে, তিনি দলের দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি, দলের খেলোয়াড়দের একটি মিটিংয়ে কোচ টুখেল, স্পেনের বিরুদ্ধে ইউরো ২০২৪ ফাইনালের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। খেলায় যখন ইংল্যান্ড ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল, তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।
কোচ টুখেলের মতে, খেলার কঠিন মুহূর্তে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলার ফলাফল নির্ধারণে যোগাযোগের গুরুত্ব অনেক।
পরিসংখ্যান দেখা গেছে, খেলার প্রথমার্ধে খেলোয়াড়দের মধ্যে যেখানে ৬০ বার যোগাযোগ হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে সেই সংখ্যা কমে ৩৫-এ দাঁড়িয়েছিল। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড এই বিষয়ে কোচের বার্তার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাস্টন ভিলার খেলোয়াড় মরগান রজার্স জানান, কোচ টুখেল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক এবং একতাবদ্ধতা চান। তিনি চান খেলোয়াড়রা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক এবং দলের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকুক।
মরগান আরও বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে দলের খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে কথা বলবে এবং সমর্থন যোগাবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি মনে করেন, মাঠের খেলায় দলের ভালো ফলাফলের জন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ খুবই জরুরি।
নতুন কোচের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে রজার্স জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে ১৫ মিনিটের একটি জুম কলে তিনি কোচের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই সময় তিনি ফরমাল পোশাক পরেছিলেন।
এরপর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এবং তরুণ এই খেলোয়াড় জার্মানির কোচের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছেন। টুখেলের আত্মবিশ্বাস এবং খেলোয়াড়দের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ তাকে মুগ্ধ করেছে বলেও জানান রজার্স।
তিনি আরও যোগ করেন, মাঠের খেলায় কোচের অভিজ্ঞতা এবং তার কাছ থেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংবাদ মাধ্যম