সামাজিক নিরাপত্তা: পরিচয় যাচাইয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, সুবিধাভোগীদের দুশ্চিন্তা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা যাচাইকরণের জন্য নতুন নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই নতুন নিয়মের আওতায়, যারা অনলাইনে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবেন না, তাদের এখন সরাসরি সরকারি অফিসে গিয়ে তা করতে হবে।

একই সময়ে, দেশটির বিভিন্ন স্থানে সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন বয়স্ক নাগরিক এবং সীমিত ইন্টারনেট সুবিধা আছে এমন ব্যক্তিরা। তাছাড়া, যারা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্যও এটি উদ্বেগের কারণ।

এই সিদ্ধান্তের ফলে সেবা পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, অফিসের সংখ্যা কমানো এবং কর্মীদের ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা পরিষেবা সরবরাহকে আরও কঠিন করে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলছে, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো জালিয়াতি কমানো। তারা দাবি করছেন, এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১১০০ কোটি টাকার বেশি) জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে সুবিধাভোগীদের জন্য হয়রানি বাড়বে এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা পেতে বিলম্ব হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিবর্তনের ফলে বয়স্ক নাগরিক এবং শিশুদের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ শিশুদের জন্য অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব নয়।

এছাড়া, যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের জন্য সরকারি অফিসে যাওয়া কঠিন হবে।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির ৬২ জন সদস্য এক চিঠিতে সরকারের কাছে এই পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের কথা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, অনলাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথবা সরাসরি অফিসে গিয়ে সহায়তা নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হচ্ছে, তা অনেক মানুষের জন্য বাধা সৃষ্টি করবে।

অন্যদিকে, কিছু সমালোচক মনে করেন, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যক্তিগত খাতে ছেড়ে দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে, সুবিধাভোগীদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য সহজলভ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা জরুরি।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *