ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর! সেরা শহরের তালিকায় কোন দেশ?

বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর! টাইম আউট ম্যাগাজিন ২০২৩ সালের সেরা খাদ্য গন্তব্যগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের রন্ধনশৈলীর স্বাদ ও বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই তালিকায় স্থান পাওয়া শহরগুলো খাদ্যপ্রেমীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

টাইম আউট-এর জরিপে ১৮,৫০০ জনের বেশি মানুষের অংশগ্রহণে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। খাবারের স্বাদের দিক থেকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউ অরলিন্স। ফরাসি, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামী ও আফ্রিকান সংস্কৃতির মিশ্রণে গঠিত এই শহরের খাবারগুলো খুবই জনপ্রিয়।

গুম্বো, জাম্বালায়া এবং বেইনেটসের মতো মুখরোচক খাবার এখানে উপভোগ করা যায়।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। গ্যাগান আনন্দ-এর মতো নামকরা রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের স্বল্প মূল্যের খাবার—সবকিছুই ব্যাংককের খাদ্য বৈচিত্র্যের প্রমাণ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়ার মেডেলিন, যা তার সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য পরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যেখানে সি-ফুডের (seafood) নানারকম পদ পাওয়া যায়।

এছাড়াও, মাদ্রিদ, মেক্সিকো সিটি, লাগোস, সাংহাই, প্যারিস, জাকার্তা, মারাক্কেশ, লিমা, রিয়াদ, মুম্বাই, আবুধাবি, কায়রো, পোর্তো, মন্ট্রিল, নাপলস এবং সান হোসে-এর মতো শহরগুলো এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

প্রত্যেকটি শহরের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ খাদ্য সংস্কৃতি রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় নাইজেরিয়ার কথা। অনেকের মতে, নাইজেরিয়ায় তৈরি গিনেস-এর স্বাদ নাকি আয়ারল্যান্ডের চেয়েও ভালো! গিনেস-এর এই সংস্করণটি সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে।

আয়ারল্যান্ডে চা-ও বেশ জনপ্রিয়। ব্যারি’স, লিওনস এবং পাঞ্জানা – এই ব্র্যান্ডগুলোর চা সেখানে বেশ পরিচিত।

খাবারের এই তালিকা শুধু একটি গন্তব্য নয়, বরং সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল চিত্র। যারা নতুনত্বের স্বাদ পেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই শহরগুলো হতে পারে আদর্শ।

যারা ভ্রমণের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে চান, তাদের জন্য এই তালিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *