বিশ্ব নারী ফুটবলে আসছে নতুন আকর্ষণ, ‘ওয়ার্ল্ড সেভেনস ফুটবল’।
নারী ফুটবলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, বাড়ছে বিনিয়োগও। এবার এই খেলার প্রসারে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক টুর্নামেন্ট, যার নাম ‘ওয়ার্ল্ড সেভেনস ফুটবল’।
আকর্ষণীয় এই টুর্নামেন্টটিতে দলগুলো সাত জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলবে। এই টুর্নামেন্টের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার। বিজয়ী দল পাবে প্রায় সাড়ে বাইশ কোটি টাকার (১ ডলার = ১১৯ টাকা ধরে) বেশি।
আগামী ২১ থেকে ২৩শে মে পর্তুগালের এস্তোরিলে বসবে এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। এস্তোরিলের এস্তাদিও আন্তোনিও কোইম্ব্রা দা মোটাতে তৈরি করা হবে বিশেষ মাঠ, যেখানে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
এই টুর্নামেন্টের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে, আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হবে।
প্রতিটি টুর্নামেন্টে পুরস্কার মূল্য হিসেবে থাকছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে জয়ী দল পাবে প্রায় সাড়ে বাইশ কোটি টাকার বেশি।
এই অর্থের একটি বড় অংশ খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে ভাগ করা হবে।
টুর্নামেন্টের খেলার নিয়মও বেশ আকর্ষণীয়। প্রতিটি ম্যাচ হবে ৩০ মিনিটের, যা ১৫ মিনিটের দুটি অর্ধে বিভক্ত থাকবে।
খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুযোগও থাকছে। সাধারণত, ১১ জনের দল নিয়ে ফুটবল খেলা হয়, তবে এখানে সাত জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন করা হবে।
মাঠের আকারও হবে ছোট এবং গোলপোস্টের আকারও কিছুটা ছোট হবে। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা আশা করছেন, দ্রুতগতির খেলা, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং গোলের সুযোগ তৈরি হওয়ায় এটি নতুন প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীদের আকৃষ্ট করবে।
এই টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন সাবেক ফুটবলার অনিতা আ্যসান্তে।
এই প্রতিযোগিতা খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে আয়োজকরা জানিয়েছেন, পর্তুগালের পর তারা যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, এশিয়া ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে অথবা ডিসেম্বরে এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হতে পারে আমেরিকাতে।
এই টুর্নামেন্টের পেছনে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজসেবী জেনিফার ম্যাকিজি। এছাড়া, অভিজ্ঞ নারী ফুটবল কর্মকর্তাদের একটি দল এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করছেন।
দলের প্রধান কৌশলবিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক মার্কিন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় অ্যালে ওয়াগনার। প্রধান নির্বাহী হিসেবে রয়েছেন জাস্টিন ফিশকিন।
টুর্নামেন্টে কোন কোন দল অংশ নেবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে জানা গেছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালিস্ট দলগুলো এতে অংশ নিতে পারবে না।
এ কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দল ঘোষণা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে অন্তত দুটি উইমেন্স সুপার লিগ দলসহ অ্যাঞ্জেল সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবগুলো অংশ নিতে পারে।
নতুন এই টুর্নামেন্ট নারী ফুটবলে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং খেলার ধরনের কারণে এটি দ্রুতই ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম