যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
যদি এটি সত্যি হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাখাতে এটি একটি বড় পরিবর্তন আনবে।
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ট্রাম্প সম্ভবত মনে করেন শিক্ষা দপ্তরটি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না। অনেকে মনে করেন, এর কারণ হলো দপ্তরটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে এর মিল না থাকা।
যদি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়, তবে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তর দেশটির শিক্ষা বিষয়ক নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই দপ্তর বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে থাকে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেল সরকার শিক্ষাখাতে অর্থ যোগান দেয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদারকি করে।
যদি ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, তবে শিক্ষা দপ্তরের কার্যক্রম কিভাবে বন্ধ করা হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দপ্তরের কিছু দায়িত্ব হয়তো অন্য কোনো বিভাগে স্থানান্তর করা হতে পারে, আবার কিছু কর্মসূচি হয়তো বাতিলও হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষাখাতে কর্মরত কর্মীদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই ধরনের একটি সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক এবং আইনি জটিলতাও থাকতে পারে। কারণ, শিক্ষা বিষয়ক নীতি পরিবর্তন করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়াও, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। তবে, শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত হয়।
তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, উন্নত দেশগুলোর শিক্ষা বিষয়ক সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের নীতি-নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা