গ্ল্যামরগানের প্রাক্তন কোচ ব্র্যাডবার্নের বর্ণবাদী ও লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যের জন্য জরিমানা।
ক্রিকেট বিশ্বে আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গ্ল্যামরগান ক্রিকেট ক্লাবের প্রাক্তন প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্নকে বর্ণবাদী এবং লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই মন্তব্যের জেরে তাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে অভিযোগ ওঠার পরেই ব্র্যাডবার্নকে বরখাস্ত করা হয়। ক্রিকেট ডিসিপ্লিন কমিশন (সিডিসি)-এর বিচারে তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
- এশীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ‘ক্রিকইনফো’ বয়স জানতে চাওয়া, যা তাদের বয়স নিয়ে মিথ্যা বলার ইঙ্গিত দেয়।
- পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের দলভুক্ত করা বা লটারির মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করার মতো মন্তব্য করা। উল্লেখ্য, ব্র্যাডবার্ন এর আগে ২০২৩ সালে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গ্ল্যামরগানে যোগ দেন।
- অনুশীলনের সময় ফিল্ডিংয়ে কম মনোযোগ দেখালে পুরুষ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ‘এটা তো ওয়েস্টার্ন স্টর্ম (মহিলা ক্রিকেট দল)-এর মতো নয়’ জাতীয় মন্তব্য করা।
সিডিসি’র বিচারক টিম ও’গোরম্যান জানান, ব্র্যাডবার্নের এই ধরনের আচরণে কিছু সংজ্ঞা এবং ধারণার প্রকাশ ঘটেছে, যা বর্ণবাদী ও লিঙ্গবৈষম্যমূলক।
তবে, তার মন্তব্যের পেছনে কোনো প্রকার বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল না।
ব্র্যাডবার্ন তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করেছেন।
এই ঘটনার জন্য ব্র্যাডবার্নকে প্রথমে ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়, যা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, তাকে একটি শিক্ষা-মূলক কোর্সে অংশ নিতে হবে।
গ্ল্যামরগানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যান চেরি এই বিষয়ে বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি।
আমাদের ক্লাবে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি শূন্য সহনশীলতা নীতি রয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
আমরা নিশ্চিত যে আমাদের নিয়মকানুন অনুযায়ী, যারা খারাপ আচরণ করে তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছে।”
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান