যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সম্প্রতি টেসলার বিভিন্ন সম্পত্তির ওপর হামলার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এই হামলাগুলোয় অভিযুক্তরা মূলত মলোটভ ককটেল ব্যবহার করে টেসলার গাড়ি এবং চার্জিং স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের কাছে একটি ‘সাপ্রেসড এআর-১৫ রাইফেল’ ছিলো এবং অন্যজন কোলোরাডোতে টেসলার গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দক্ষিণ ক্যারোলিনাতেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি টেসলার চার্জিং স্টেশনের আশেপাশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বার্তা লিখেছিলেন।
এই ঘটনার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, টেসলার মালিক ইলন মাস্কের বিতর্কিত কিছু পদক্ষেপ। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে মাস্ক সরকারি কর্মী ও বাজেট কাটছাঁটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে, টেসলার শেয়ারের দামও মাস্কের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়েডবুশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যান আইভেসের মতে, মাস্কের এই কার্যক্রমের ফলে টেসলার ব্র্যান্ডের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
মাস্ক অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি কোনো ‘ক্ষতিকর’ কাজ করেননি। তিনি বরং সরকারের দুর্নীতি এবং অপচয় বন্ধ করতে কাজ করছেন। মাস্কের মতে, যারা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করতো, তিনিই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে টেসলার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। টেসলা একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কোম্পানি এবং এর মালিকের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে এর ওপর বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাতে পারেন।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।