যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক ঘটনায়, বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক ফুটবল কোচের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। ম্যাট ওয়েইস নামের ওই ব্যক্তি এক সময়ে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (NFL)-এর বাল্টিমোর রেভেনস দলের সহকারী কোচ এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফেডারেল আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওয়েইসের বিরুদ্ধে কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের ১৪টি এবং পরিচয় চুরির ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওয়েইস বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভারে প্রবেশ করে দুই হাজারের বেশি অ্যাথলিটের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেন। এই তালিকায় বেশিরভাগ ছিলেন নারী খেলোয়াড়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মূলত তাদের সামাজিক মাধ্যম, ইমেইল এবং ক্লাউড স্টোরেজ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতেন এবং ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওয়েইসের প্রধান লক্ষ্য ছিল নারী খেলোয়াড়েরা। তিনি তাদের স্কুলের পরিচয়, খেলার ইতিহাস এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন।
তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা, যা একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে কারো সাথে শেয়ার করার কথা ছিল না।
২০২১ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে ওয়েইস দীর্ঘ দিন এনএফএলের দল বাল্টিমোর রেভেনসের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান।
এ বিষয়ে ডেট্রয়েটের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি জুলি বেক বলেন, “আমরা নাগরিকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রক্ষার জন্য কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশেও সাইবার অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
নাগরিকদের অনলাইনে তাদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান