উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে, এমনটাই জানা গেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রধান।
কোরীয় কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা (কেসিএনএ) শুক্রবার জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফল অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ছিল এবং দেশের সামরিক সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়া সাহায্য করতে পারে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বেড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০০:০০) অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত এই পরীক্ষার বিষয়ে কেসিএনএ আরও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং এটির কার্যকারিতা যাচাই করাই ছিল এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। তবে পরীক্ষার স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ পৌঁছেছেন। তিনি দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেঙ্কোও পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন-হুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানানোর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হতে পারে।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য উত্তর কোরিয়াকে অ্যান্টি-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
ধারণা করা হয়, ১০ হাজারের বেশি উত্তর কোরীয় সেনা বর্তমানে রাশিয়ায় মোতায়েন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইউক্রেন সংলগ্ন কুরস্ক অঞ্চলের ফ্রন্টলাইনেও দেখা গেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা