আতঙ্ক! অন্ধকারে দুই বন্দী, ভেঙে নিরাপত্তা, পলাতক!

ডেনভারের কাছে একটি অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টার থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সুযোগে পালিয়ে যায় দুই বন্দী। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) কর্তৃপক্ষের সাথে স্থানীয় পুলিশের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের দেরিতে জানানো হয়েছিল, যার ফলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

বুধবার ভোরে এই ঘটনা জানার প্রায় দুই ঘণ্টা পর এবং বন্দীদের পালিয়ে যাওয়ার চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর আরোরার পুলিশকে জানানো হয়। আইস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলার এই দুই নাগরিককে এর আগে অনির্দিষ্ট অভিযোগের কারণে কলোরাডোর কারাগারে রাখা হয়েছিল।

তাদের আটকের জন্য এখনো অভিযান চলছে। আইস আরও জানায়, তারা দ্রুত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি জানায়, কিন্তু তারা অভিযানে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে।

অন্যদিকে, আরোরার পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে জিইও গ্রুপ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, যারা ওই ডিটেনশন সেন্টারটি পরিচালনা করে। চুক্তি অনুযায়ী, পালানোর ১৫ মিনিটের মধ্যে জানালে পুলিশ সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকে।

কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের জানানো হয়েছে অনেক দেরিতে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোররাতের দিকে ডিটেনশন সেন্টারের এক কর্মী সম্ভাব্য পলায়নের খবর জানাতে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন, তবে বিস্তারিত তথ্য দেননি।

পরে এক পুলিশ কমান্ডারকে বিস্তারিত জানার জন্য আবার ফোন করতে হয়। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১০টার দিকে বন্দীরা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমরা দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্য পেলে আমাদের ফেডারেল অংশীদারদের সহায়তা করতে পারি।

আরোরার পুলিশ প্রধান টড চেম্বারলেইন

দুর্ভাগ্যবশত, এই ঘটনায় তেমনটি ঘটেনি।

কলোরাডোর গভর্নর জারেড পলিসের মুখপাত্র অ্যালি সুলিভান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে পলাতকদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে।

তবে আইস অন্য কোনো ধরনের সহায়তা চায়নি।

জিইও গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্ভবত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছিল, যার ফলে বন্দীরা দেয়াল টপকে পালাতে সক্ষম হয়।

সংস্থাটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *