ট্রাম্পের ক্ষমতা খর্ব: বিচারক বোয়াসবার্গের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে মুখোমুখি প্রশাসন!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক, জেমস বোয়াজবার্গ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছেন বিচারক বোয়াজবার্গ।

জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন কিছু অনিবাসী নাগরিককে দ্রুত বিতাড়িত করার জন্য একটি পুরাতন আইনের (Alien Enemies Act) ব্যবহারের চেষ্টা করছিল। বিচারক বোয়াজবার্গ এই আইনের প্রয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

কিন্তু প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে কিছু বিতাড়ন ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এই ঘটনায় বিচারক বোয়াজবার্গ ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের আইনজীবীদের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তিনি সরকারের দেওয়া তথ্যের অপর্যাপ্ততা এবং কর্মকর্তাদের বক্তব্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

বিচারকের মতে, সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছে এবং তার জিজ্ঞাসার সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন বিচারকের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। তারা যুক্তি দেখাচ্ছে যে, বিচারক তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই আইনের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা সুসংহত করা হচ্ছে। এমনকি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিচারক বোয়াজবার্গের অভিশংসনের দাবি তুলেছেন।

অন্যদিকে, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) সহ অন্যান্য সংগঠনগুলো মনে করে, সরকারের এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগের প্রতি চরম অবজ্ঞা এবং সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে পারে।

তারা আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ এনেছে।

এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো, সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। একদিকে, সরকার দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাইছে, অন্যদিকে, বিচার বিভাগ আইনের শাসনের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করছে।

এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *