১১ পাউন্ডের চালে আরাম! লন্ডনের নতুন রেস্তোরাঁ নিয়ে হইচই

লন্ডনের অভিজাত এলাকা শোরডিচে নতুন একটি রেস্তোরাঁ, বার ভ্যালেট। এখানকার আকর্ষণীয় দিকটি হলো, এটি তৈরি করেছেন বিশ্বখ্যাত ‘ক্লোভ ক্লাব’-এর শেফ আইজ্যাক ম্যাকহেল।

রেস্টুরেন্টটি আধুনিক ইউরোপীয় খাবারের স্বাদ নিয়ে হাজির হয়েছে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে খাবার উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।

বার ভ্যালেটের পরিবেশ বেশ হালকা ও অনাড়ম্বর। রেস্তোরাঁর ভেতরের সাজসজ্জা এবং মেন্যুর ধরন দেখলে মনে হয়, এখানে আসা অতিথিরা যেন নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারেন।

সাদা দেয়াল, কাঠের আসবাবপত্র এবং হাতে আঁকা মেন্যু বোর্ড—সবকিছুই এই ধারণাকে সমর্থন করে।

খাবারের তালিকায় রয়েছে ক্ল্যাপশট ক্রোকেটস (আলু ও মিষ্টি কুমড়ার মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের খাবার), চিকেন বাস্কেট, এবং ডেজার্ট হিসেবে ফ্লাং-এর মতো পদ।

তবে, এই আরামদায়ক পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলে না এখানকার দাম। মেন্যুর দিকে তাকালে মনে হয়, যেন দামের দিক থেকে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে।

ছোট আকারের খাবারের দাম শুরু হয় প্রায় ১,৯০০ টাকা থেকে, আর স্ন্যাকসের দাম প্রায় ১,৫০০ টাকা।

মেন্যুতে আলু ভাজাও পাওয়া যায়, যার দাম প্রায় ১,২৫০ টাকা।

বার ভ্যালেটের খাবারগুলো বেশ সুস্বাদু, তবে দামের তুলনায় এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, বাটারমিল্ক ফ্রাইড চিকেন পরিবেশন করা হয় পাইন গাছের উপর, যার দাম প্রায় ১,৯০০ টাকা।

এছাড়া, টরবাই চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় ৩,৮০০ টাকায়, যা খোসা সহ খেতে হয়।

একটি সাধারণ সুইস চার্ড ও রিকোটা বারবাজুয়ান-এর দামও ১,৫০০ টাকা।

খাবার পরিবেশনে কিছু ত্রুটি চোখে পড়েছে।

একবার, খাবারে প্লাস্টিকের একটি অংশ পাওয়া গিয়েছিল, যা অপ্রত্যাশিত ছিল।

যদিও বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে, কিন্তু খাবারের দামের সঙ্গে এই ধরনের অভিজ্ঞতা হতাশাজনক।

যারা একটু ভিন্ন স্বাদের খাবার ভালোবাসেন, তাদের জন্য বার ভ্যালেট একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

তবে, দামের বিষয়টি মাথায় রেখে এখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সব মিলিয়ে, বার ভ্যালেট-এর অভিজ্ঞতা মিশ্র—আরামদায়ক পরিবেশ, সুস্বাদু খাবার, কিন্তু অতিরিক্ত দাম।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *