জাপানের ইয়োশিনোতে: ৩০,০০০ চেরি গাছের নিচে এক স্বপ্নীল জগৎ!

জাপানের মনোমুগ্ধকর স্থান: ইয়োশিনো পর্বতে চেরি ফুলের উৎসব

জাপান ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনার ভ্রমণ তালিকায় যুক্ত করতে পারেন ইয়োশিনো পর্বতের নাম। প্রতি বছর, বসন্তের আগমনে যখন চেরি ফুল ফোটে, তখন ইয়োশিনো পর্বত পরিণত হয় এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে।

এই সময়ে এখানে ‘হানামি’ উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা জাপানি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘হানামি’ শব্দের অর্থ হলো ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা, বিশেষ করে চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা।

ইয়োশিনো-কুমানো জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত ইয়োশিনো পর্বত, ওসাকা থেকে প্রায় ৮৮ কিলোমিটার এবং কিয়োটো থেকে ১১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যারা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই স্থানটি একটি আদর্শ গন্তব্য হতে পারে।

এই পর্বতের প্রধান আকর্ষণ হলো প্রায় ৩০,০০০ চেরি ফুলের গাছ। এখানকার সবচেয়ে পুরনো গাছটির বয়স ১৩০০ বছরের বেশি।

সাধারণত, মার্চ মাসের শেষ থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইয়োশিনো পর্বতে চেরি ফুল ফোটা শুরু হয়। তবে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সময়ে কিছুটা হেরফের হতে পারে।

তাই ভ্রমণের আগে বর্তমান আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নেওয়া ভালো।

ইয়োশিনো পর্বতের ঢাল চারটি অংশে বিভক্ত: শিমো সেনবোন,নাকা সেনবোন, কামি সেনবোন এবং ওকু সেনবোন। প্রতিটি অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতায় চেরি ফুল বিদ্যমান।

তাই, এখানে আসা পর্যটকদের জন্য ফুল ফোটার একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে।

শুধু চেরি ফুলই নয়, ইয়োশিনো পর্বত তার ঐতিহাসিক মন্দির ও উপাসনালয়ের জন্যও বিখ্যাত। এখানকার হাইকিং ট্রেইলগুলো আপনাকে প্রকৃতির আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

শিমো অঞ্চলে, আপনি ইয়োশিনো রোপওয়ের মাধ্যমে ফুলের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। নাকা অঞ্চলে রয়েছে কিনপুসেনজি মন্দির এবং ইয়োশিমizu মন্দির।

কামি অঞ্চলটি তুলনামূলকভাবে শান্ত এবং এখানে হানায়াগুরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যা রোপওয়ে স্টেশন থেকে হেঁটে এক ঘণ্টার পথ। ওকু অঞ্চলে ফুল ফোটা সাধারণত অন্যান্য অঞ্চলের থেকে এক সপ্তাহ পর শুরু হয়।

এখানে তাকাগিয়ামা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকেও সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে যেমন বর্ষা আসে, তেমনি জাপানেও একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফুলের এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আপনি যদি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোবাসেন, তাহলে ইয়োশিনো পর্বত হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি গন্তব্য।

এই স্থানটিতে যেতে হলে, ঢাকা থেকে প্রথমে জাপানের ওসাকা অথবা কিয়োটো’র উদ্দেশ্যে বিমানে যাত্রা করতে পারেন। টিকিট এবং ভিসার জন্য আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: Travel and Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *