হিটরোর ভয়াবহ আগুন: বন্ধ বিমানবন্দর, আতঙ্কে হাজার হাজার যাত্রী!

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কয়েক লক্ষ যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে বর্ণনা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতের বেলা, লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সাবস্টেশনে আগুন লাগে।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল, ২ ও ৪ নম্বর টার্মিনালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলে।

হিথরোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা শুক্রবার সারাদিন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে এক হাজার তিনশ’র বেশি ফ্লাইট বাতিল বা অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তবে, বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার কারণ এখনো পর্যন্ত অজানা।

তবে, মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ড এই ঘটনার তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ধরনের ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং খুব দ্রুত বিমানবন্দর চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

হিথরো বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর, যেখান থেকে প্রতিদিন বহু আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল করে। এই ঘটনার কারণে শুধু যুক্তরাজ্য নয়, বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে এর প্রভাব পড়েছে।

অনেক যাত্রী যারা হিথরো হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল, তারা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *