যেহেতু আমার কাছে মূল প্রবন্ধটি নেই, তাই “Discordant” শিরোনামের উপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ সংবাদ নিবন্ধ লেখার চেষ্টা করছি।
“Discordant” শব্দটির অর্থ হলো বেসুরো বা অমিল। এই শব্দটি ব্যবহার করে আমি একটি কাল্পনিক আন্তর্জাতিক ঘটনা নিয়ে একটি সংবাদ নিবন্ধ লিখছি, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য বা মতের অমিল বিদ্যমান।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সম্প্রতি, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাইছে, যেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য কিছুটা ছাড় দিতে বলছে।
সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে ঝুঁকতে উৎসাহিত করেন। উন্নত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতেও রাজি আছে।
অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই মূলত দায়ী।
তাদের মতে, উন্নত দেশগুলো অতীতে ব্যাপক কার্বন নিঃসরণ করেছে এবং এখন তাদেরই বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর ক্ষেত্রে সময় চাইছে এবং উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই মতবিরোধ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই অচলাবস্থা ভাঙতে না পারলে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হয়ে পড়বে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।
তথ্যসূত্র: নিজস্ব প্রতিবেদন