যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি বিমানবন্দরে নিজের পোষা কুকুরকে বাথরুমে ডুবিয়ে মারার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলিসন লরেন্স নামের এই নারীর বিরুদ্ধে গুরুতর পশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে লরেন্স তার সাদা রঙের মিনিয়েচার শ্নাউজার (Schnauzer) প্রজাতির কুকুর, টাইউইনকে নিয়ে কলম্বিয়া যাওয়ার জন্য অরল্যান্ডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, লরেন্সের কাছে কুকুরের ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি টাইউইনকে নিয়ে টিকিট কাউন্টারের কাছে থাকা একটি বাথরুমে প্রবেশ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু সময় পর লরেন্সকে বাথরুম থেকে একা বের হতে দেখা যায়। এরপর তিনি কলম্বিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পরবর্তীতে, বিমানবন্দরের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাথরুমের ময়লার ঝুড়িতে কুকুরটির নিথর দেহ খুঁজে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে, পুলিশ এসে টাইউইনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
কুকুরটির গায়ে একটি কলার, পরিচয়সূচক ট্যাগ এবং ভ্রমণের ব্যাগ পাওয়া যায়। এছাড়া, তার শরীরে একটি মাইক্রোচিপ (Microchip) লাগানো ছিল, যা থেকে টাইউইনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
ময়না তদন্তে (Necropsy) জানা যায়, কুকুরটিকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, টাইউইনের মালিক লরেন্স কলম্বিয়ার বোগোটা হয়ে ইকুয়েডরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।
ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ লরেন্সকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে, তিনি ৫,০০০ মার্কিন ডলার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কলম্বিয়ায় কুকুর নিয়ে যেতে হলে, পশুচিকিৎসকের স্বাস্থ্য সনদ এবং জলাতঙ্কের টিকার সনদ থাকতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পশু নির্যাতনের বিষয়টি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর জন্য কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান