হিথরোর বিভ্রাট: বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের চরম দুর্ভোগের পর অবশেষে কি স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি?

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা শুক্রবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং নির্ধারিত সময়েই বিমানগুলো উড্ডয়ন করছে।

গত শুক্রবার, বিমানবন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।

আগুনের কারণে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়।

অনেক বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়, যার ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিথরোর কর্তৃপক্ষ তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, যাত্রীদের এই অসুবিধার জন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

যদিও শনিবার থেকে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, বিমান সংস্থাগুলো আগামী কয়েক দিন ধরে ফ্লাইট চলাচলে বিলম্বের আশঙ্কা করছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা শনিবার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

তাদের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শান ডয়েল বলেন, “এই ধরনের বড় ঘটনার পর আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে।”

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ন্যাশনাল গ্রিড শনিবার সকালে জানায়, তারা ক্ষতিগ্রস্ত উপকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত সকল গ্রাহকের জন্য বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টমাস ওল্ডবায়ে শুক্রবার রাতে বলেছিলেন, তারা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চান।

২০২৩ সালে হিথ্রো বিমানবন্দর ছিল বিশ্বের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

গত বছর এখানে প্রায় ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন।

বিমানবন্দরে চারটি টার্মিনাল রয়েছে এবং সাধারণত এটি ৯৯ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে চলে।

বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কোনো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হওয়া বিমানগুলোর যাত্রীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *