যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে। একটি ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশটির ১,৬৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, শিশুদের মধ্যে, বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়ে শিশুরা, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে, নির্যাতনের শিকার হওয়ার সময় তাদের বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর।
‘এভরিওয়ানস ইনভাইটেড’ নামক একটি ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত অভিযোগগুলো জমা পড়েছে। ওয়েবসাইটটি বলছে, নির্যাতনের শিকার শিশুদের মধ্যে অনেকেই তাদের পুরোনো অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন।
তবে, পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অভিভাবকদের সহায়তায় তাদের ঘটনা জানানোর প্রমাণও রয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ওয়েবসাইটটি নয় বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য বয়স-উপযোগী যৌন শিক্ষা চালুর আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এবং তাদের সুস্থ সম্পর্কের ধারণা দিতে এই শিক্ষা অপরিহার্য।
তারা মনে করে, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে যৌন শিক্ষার যে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আরও কমিয়ে আনা উচিত।
জাতীয় শিক্ষা ইউনিয়নের (National Education Union – NEU) সাধারণ সম্পাদক ড্যানিয়েল কেবেদে বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের স্কুলে লিঙ্গবৈষম্যমূলক আচরণের খবর জানাচ্ছেন। এর ফলে ছেলে ও মেয়ে উভয় শিশুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, উপযুক্ত স্বাস্থ্য ও যৌন শিক্ষা তরুণদের সুস্থ এবং উপযুক্ত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুদের মধ্যে সুস্থ সম্পর্কের ধারণা তৈরি করতে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে খুব শীঘ্রই তারা একটি নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের মতো, আমাদের দেশেও শিশুদের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুদের প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে যৌন নির্যাতন, একটি মারাত্মক অপরাধ।
আমাদের সবারই উচিত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হওয়া। সরকার, পরিবার এবং সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: The Guardian