ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (Premier League), যা বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়, সেই লিগে চলতি মৌসুমের সেরা একাদশ নির্বাচন করা হয়েছে। এই দল নির্বাচন করা হয়েছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে, যারা তাদের নিজ নিজ পজিশনে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন।
আসুন, দেখে নেওয়া যাক সেই সেরা একাদশে কারা জায়গা করে নিয়েছেন।
গোলরক্ষক হিসেবে এই দলে জায়গা করে নিয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের ম্যাটজ সেলস। যদিও ডেভিড রায়াসহ আরও কয়েকজন গোলরক্ষক ভালো খেলছেন, সেলস তাদের থেকে সামান্য এগিয়ে।
তিনি নটিংহ্যাম ফরেস্টের রক্ষণকে শক্ত করে দলকে অনেক ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ডান পাশের ডিফেন্ডার হিসেবে রয়েছেন ক্রিস্টাল প্যালেসের ড্যানিয়েল মুনোজ। কলম্বিয়ার এই খেলোয়াড় রক্ষণ এবং আক্রমণ উভয় দিকেই সমানভাবে পারদর্শী।
তার গতি, ট্যাকল করার ক্ষমতা এবং খেলার কৌশল প্যালেসের রক্ষণকে শক্তিশালী করেছে।
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে রয়েছেন লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক। এই ডাচ ডিফেন্ডার বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
তার আকাশচুম্বী দক্ষতা, বল ক্লিয়ার করার ক্ষমতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী তাকে দলের জন্য অপরিহার্য করে তুলেছে। তার সাথে এই পজিশনে রয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের নিকোলা মিলেংকোভিচ।
সেট পিস থেকে গোল করা এবং দলের রক্ষণকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার।
বাম পাশের ডিফেন্ডার হিসেবে ফুলহ্যামের অ্যান্টনি রবিনসন-কে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া ১০টি অ্যাসিস্ট প্রমাণ করে, তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
রবিনসন একদিকে যেমন রক্ষণ সামলান, তেমনই আক্রমণেও দলের জন্য অবদান রাখেন।
মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজ অন্যতম। ইউনাইটেডের খারাপ পারফরম্যান্সের মধ্যেও তিনি উজ্জ্বল ছিলেন।
তার পাসিং এবং গোল করার দক্ষতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সাথে রয়েছেন লিভারপুলের রায়ান গ্র্যাফেনবার্খ।
আক্রমণ এবং রক্ষণ – উভয় দিকেই তার সমান দক্ষতা রয়েছে।
আক্রমণভাগের মিডফিল্ডার হিসেবে চেলসির কোল পালমার-কে রাখা হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি গোল করা থেকে দূরে ছিলেন, তবে তার ১৪টি গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট প্রমাণ করে তিনি কতটা প্রতিভাবান।
বাম উইংয়ে খেলছেন উলভসের ম্যাথিউস কুনহা। এই ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় ১৩ গোল করে প্রমাণ করেছেন, তিনি দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্রাইকার হিসেবে নটিংহ্যাম ফরেস্টের ক্রিস উড-কে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার ফিনিশিং দক্ষতা এবং গোল করার ক্ষমতা ফরেস্টের জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ডান উইংয়ে খেলছেন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ। তিনি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং অ্যাসিস্টকারীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।
সেরা একাদশের ম্যানেজার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের নুনো এসপিরিটো সান্তো। গত মৌসুমে তার দল ১৭তম স্থানে ছিল, কিন্তু এবার তিনি তাদের তৃতীয় স্থানে নিয়ে এসেছেন, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
এই সেরা একাদশ প্রমাণ করে, খেলোয়াড়দের একাগ্রতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলই একটি দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian