ইডাহো হত্যাকাণ্ড: মৃত্যুর আগে তরুণীদের মধ্যে কী ঘটেছিল?

ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ডেরহত্যাকাণ্ডের ঘটনা, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘটেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। এই মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

ঘটনার রাতে ছাত্রাবাসে উপস্থিত থাকা দুই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি এবং তাদের কার্যকলাপ মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে।

২০২২ সালের ১৩ই নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের ইডাহো অঙ্গরাজ্যের মস্কোতে অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন কায়েলা গনকালভেস, ম্যাডিসন মোগেন, জেনা কার্নডল এবং ইথান চ্যাপিন।

ঘটনার সময় ছাত্রাবাসে উপস্থিত ছিলেন ডিলান মরটেনসেন ও বেথানি ফানকে নামের দুই শিক্ষার্থী। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন গভীর রাতে তারা একটি অপরিচিত শব্দ শোনেন এবং এর পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভোর ৪টার দিকে মরটেনসেন শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠেন। তিনি জানান, উপরের তলার একটি ঘরে কেয়ালি তার কুকুরের সাথে খেলছিল।

এর কিছুক্ষণ পরই তিনি “এখানে কেউ আছে” – এমন একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর তিনি জেনার ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শোনেন।

দরজা খুলে তিনি কালো পোশাক পরা, মুখ ঢাকা এক ব্যক্তিকে দেখতে পান।

আতঙ্কিত মরটেনসেন দ্রুত নিজের ঘরে ফিরে যান এবং অন্যান্য রুমমেটদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।

তিনি এবং ফানকে তাদের বন্ধুদের ফোন করেন, কিন্তু কারো কাছ থেকে সাড়া পাননি। এরপর তারা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে তাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।

তাদের কথোপকথনে ঘটনার ভয়াবহতা ফুটে ওঠে।

আদালতের নথিতে দেখা যায়, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সকালে তারা আবার তাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।

ফানকে তার বাবাকে ফোন করেন এবং মরটেনসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট করেন। এরপর বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে ফানকে জরুরি বিভাগে ফোন করে জেনাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়ার খবর জানান।

তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্নডল ও চ্যাপিনকে মৃত অবস্থায় পান।

উপরের কক্ষে গনকালভেস ও মোগেনকেও ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে একটি চামড়ার ছুরির খাপ উদ্ধার করা হয়, যেখানে ব্রায়ান কোহবার্গারের ডিএনএ পাওয়া যায়।

এই ঘটনার পর কোহবার্গারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মামলার শুনানিতে, অভিযুক্তের আইনজীবীরা ঘটনার সময় দুই শিক্ষার্থীর কার্যক্রম এবং তাদের দেরিতে জরুরি বিভাগে ফোন করার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনো আঘাতমূলক ঘটনার শিকার হলে মানুষের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন হতে পারে।

এক্ষেত্রে আতঙ্ক, ভয় এবং মানসিক চাপের কারণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হতে পারে।

তরুণ বয়স এবং সামাজিকীকরণের কারণেও এমনটা ঘটা সম্ভব।

কোহবার্গারের বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং এই মামলার রায় অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *