ছেলের জন্ম! পুরনো প্রেম: পদ ছাড়লেন মন্ত্রী!

আইসল্যান্ডের শিশু ও শিক্ষামন্ত্রী আস্থিলদুর লোয়া থোরসদত্তির পদত্যাগ করেছেন। প্রায় সাড়ে তিন দশক আগের একটি ঘটনায়, তিনি যখন ২২ বছরের তরুণী ছিলেন, তখন এক ১৫ বছর বয়সী বালকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করার পরেই এই সিদ্ধান্ত আসে।

বৃহস্পতিবার আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরইউভি (RUV) জানায়, থোরসদত্তির ওই বালকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যখন তিনি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন। পরে তার গর্ভে ওই বালকের একটি সন্তান জন্ম নেয়, যখন থোরসদত্তির বয়স ছিল ২৩ এবং বালকের ১৬ বছর।

আইসল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, সম্মতির বয়স ১৫ বছর। তবে, কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি শিশুদের শিক্ষকতার দায়িত্বে থাকেন, তাহলে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বেআইনি। এমন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ছেলেটির বাবা আরইউভিকে জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী হিসেবে দেখেননি। তবে, তিনি জীবনের কঠিন এক সময় পার করছিলেন এবং পরিবারের সমর্থনে তিনি চার্চের ওই গোষ্ঠীর কাছে গিয়েছিলেন।

আরইউভি আরও জানায়, ওই সম্পর্কটি গোপন রাখা হয়েছিল। তবে, সন্তানের জন্মের সময় ছেলেটির বাবা উপস্থিত ছিলেন এবং শুরুতে সন্তানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও পান। কিন্তু ছেলের বয়স এক বছর হওয়ার আগেই তার সঙ্গে প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ছেলেটির বাবাকে ১৮ বছর ধরে সন্তানের ভরণপোষণের খরচ দিতে হয়েছে। তিনি বিচার মন্ত্রণালয় এবং চার্চের পারিবারিক সেবার কাছ থেকে তার সন্তানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলে। কিন্তু থোরসদত্তির বাধার কারণে তিনি সেই অধিকার পাননি বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার আরইউভি-র এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই থোরসদত্তির পদত্যাগের খবর আসে। তিনি এখনো পিপলস পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্ট্রুন ফ্রস্টাদত্তির জানিয়েছেন, থোরসদত্তির দেশের তিনজন দলের নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি একান্তই তার নিজের ছিল।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রস্টাদত্তির বলেন, “আমরা একসঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বৈঠকে প্রথমবারের মতো তার বক্তব্য বিস্তারিতভাবে শুনেছি।” তিনি আরও জানান, থোরসদত্তির দ্রুত দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে কাজ করছে, তবে এখনো তদন্ত শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি। ফ্রস্টাদত্তিরের মতে, “অবশ্যই, এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, তবে এর সঙ্গে আমাদের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।”

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *