ডেনিস লুইসের মুখরোচক স্বীকারোক্তি: পছন্দের খাবার আর জীবনের গল্প!

খেলাধুলার জগৎ থেকে অবসর নেওয়ার পরও যিনি এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তিনি হলেন অলিম্পিক জয়ী ডোমিনা লুইস। ২০০০ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী এই ব্রিটিশ অ্যাথলিট সম্প্রতি তাঁর জীবন এবং খাদ্য-সম্পর্কিত কিছু কথা জানিয়েছেন।

তাঁর খাদ্য-প্রেম, কঠোর অনুশীলন থেকে পাওয়া বিশ্রাম এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসার এক চমৎকার চিত্র ফুটে উঠেছে এই সাক্ষাৎকারে।

ডোমিনা লুইসের মতে, তাঁর জীবনের প্রথম দিকের খাবারের স্মৃতি তাঁর মায়ের সঙ্গে জড়িত। মায়ের হাতের তৈরি কারি চিকেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলের জনপ্রিয় ‘স্ন্যাপার’ মাছ—এসব খাবার আজও তাঁর মুখে লেগে আছে।

বিশেষ করে গুড ফ্রাইডে’তে (Good Friday) তাঁর মা পেঁয়াজ, মরিচ এবং প্রচুর মশলা দিয়ে পুরো ‘স্ন্যাপার’ মাছ রান্না করতেন, যা ছিল তাঁর কাছে স্বর্গীয় এক অনুভূতি। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে বাজারের থলে বহন করা থেকে শুরু করে আজকের এই অবস্থানে আসা—তাঁর জীবনে কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।

খেলাধুলার জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার পর তিনি খাদ্যের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে ওক্সটেল, যা ক্যারিবীয় অঞ্চলের একটি সুস্বাদু খাবার।

এছাড়াও, তিনি মাঝে মাঝে জি&টি (জিন অ্যান্ড টনিক) উপভোগ করেন, যা তাঁর বিশ্রাম এবং আনন্দের একটি অংশ। আপেল ক্রাম্বল (Apple Crumble), যা একটি ব্রিটিশ ডেজার্ট, তাঁর খুবই প্রিয়।

তাঁর দুই ছেলের খাবারের চাহিদার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছেলেদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার তৈরি করতে হিমশিম খেতে হয়। এত ডিমের দাম শুনে আমি আমার জন্য ভালো ডিম লুকিয়ে রাখি!” রান্নার প্রতি ডোমিনা লুইসের আগ্রহ অনেক।

তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে পারফেক্টভাবে স্যামন (Salmon) রান্না করতে হয়।

তাঁর অবসর জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগে আমি কঠোর নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতাম, বিশ্রাম নিতাম, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতাম। কিন্তু এখন আমি জীবনের মজা উপভোগ করি।” সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর বই, ‘অ্যাডাপটাবিলিটি: সেভেন লেসনস ফর সাকসেস ইন এ ওয়ার্ল্ড অফ কম্পিটিং ডিমান্ডস’ (Adaptability: Seven Lessons for Success in a World of Competing Demands) -এ তিনি সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

ডোমিনা লুইসের জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কঠোর পরিশ্রম, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো উপভোগ করার মাধ্যমেই একজন মানুষ পরিপূর্ণতা পেতে পারে। খেলাধুলার জগৎ থেকে অবসর নেওয়ার পরও তিনি যে একইভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *