গাজায় বন্দী থাকা একমাত্র জীবিত মার্কিন নাগরিকের বাবা, ট্রাম্পের ওপর ভরসা রাখছেন ছেলের মুক্তির জন্য।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজায় বন্দী থাকা একজন মার্কিন-ইসরায়েলি সেনার মুক্তির জন্য আকুল হয়ে আছেন তাঁর বাবা। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই পারেন তাঁর ছেলেকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে।
হামাসের হাতে বন্দী হওয়া ২১ বছর বয়সী এডান আলেকজান্ডারের বাবা আদি আলেকজান্ডার, ইসরায়েলের সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাঁর মতে, ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই সংকট সমাধানে বেশি সক্রিয় হবে।
নিউ জার্সির বাসিন্দা আদি আলেকজান্ডার মনে করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর শর্ত মেনেই বন্দী মুক্তি করতে চাইছেন। কিন্তু ট্রাম্পের বার্তা এক্ষেত্রে অনেক স্পষ্ট, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হল জিম্মিদের দ্রুত ঘরে ফেরানো।
আদি জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিতভাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাঁর বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি সমঝোতা তৈরি করতে পারবে।
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে বন্দী করা হয়। এডান আলেকজান্ডার তাঁদেরই একজন।
এডান ইসরায়েলি-আমেরিকান সেনা, যিনি আমেরিকায় বেড়ে উঠেছেন এবং ২০২২ সালে ইসরায়েলে চলে যান।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ায় এডানের পরিবারের উদ্বেগ বেড়েছে। হামাস কয়েকদিন আগে জানিয়েছিল, তারা এডান এবং আরও চারজনের মৃতদেহ ফেরত দেবে, যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে ফিরে আসে।
কিন্তু ইসরায়েল গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায় এবং কয়েকশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
আদি আলেকজান্ডার জানান, তাঁর কাছে খবর এসেছে যে, তাঁর ছেলে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা জানিয়েছেন, এডান অনেক ওজন হারিয়েছেন।
নভেম্বরে হামাস এডানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে তাঁকে সাহায্য চেয়ে কাঁদতে দেখা যায়।
আদি আলেকজান্ডার মনে করেন, উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে দ্বিতীয় দফা আলোচনার শুরু হয়নি। তিনি চান, যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং আলোচনার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হোক।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস